পুলিশের ‘ডিটেকটিভ’ পুলিশই সরিয়ে নিচ্ছে

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব প্রকাশনা (মাসিক) ডিটেকটিভ–এর বিজয় দিবস সংখ্যা
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব প্রকাশনা (মাসিক) ডিটেকটিভ–এর বিজয় দিবস সংখ্যা

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব প্রকাশনা (মাসিক) ডিটেকটিভ–এর বিজয় দিবস সংখ্যা বিতরণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে সংখ্যাটি প্রকাশিত হলেও এ মাসের শুরু থেকে সেটি বিতরণ করা হচ্ছিল। সংখ্যাটিতে একজন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) লেখা নিয়ে বাহিনীর একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেওয়ায় তা বিতরণ না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আজ বুধবার। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সব কর্মকর্তাকে আজ বুধবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ডিটেকটিভ–এর ডিসেম্বর সংখ্যায় ‘জনবান্ধব পুলিশ হবে মানুষের প্রথম আশ্রয়স্থল’ শিরোনামে সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) স্বপ্না বেগমের একটি লেখা প্রকাশিত হয়। লেখার একটি অংশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘তার মানে এই না যে আমি বলব সব পুলিশ নির্দোষ। অনেকেই আছেন বিশেষ করে ইনসপেক্টর থেকে নিম্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ অতি ক্ষুধার্ত। যার কারণে তাঁরা মানুষকে বিশেষভাবে অর্থনৈতিক হয়রানি করেন। এর কতটুকু দায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়, আমার জানা নেই।’

লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ পরিদর্শক থেকে শুরু করে নিচের পদবির কর্মকর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ডিটেকটিভ–এর সম্পাদক ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিজয় দিবস সংখ্যাটি বিতরণ না করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি সংখ্যাগুলো নয়া পল্টনের পলওয়েল ভবনে ডিটেকটিভ কার্যালয়ের ঠিকানায় ফেরত দিতে বলেন।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একটি লেখায় ভুল হওয়ায় কপিটি বিতরণ না করতে বলা হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। লেখাটি ভালোভাবে দেখা হয়নি।