বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় হারিছ আহমেদের নাম এখনো রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এই তালিকায় পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ও ছবি থাকে। গতকাল বুধবার রাতেও বহুল আলোচিত হারিছের নাম–ছবি দেখা গেছে।
হারিছ আহমেদ তাঁর আরও দুই ভাই আনিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের সঙ্গে হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে হারিছ ও জোসেফ দুটি করে এবং আনিস একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।
জোসেফ দীর্ঘদিন কারাভোগের পর রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ২০১৮ সালের ২৭ মে মুক্তি পান। হারিছ ও আনিস পুলিশের খাতায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাঁদের দুজনের দণ্ড মওকুফ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা ক্ষমতাবলে এই সাজা মাফের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; যা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো প্রকাশ করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়। তবে গত রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হারিছ আহমেদের নাম পুলিশের ওয়েবসাইটে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় দেখা যায়। এর কারণ জানতে চাইলে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র, সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দেশিত হয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ওয়ান্টেড তালিকাটি ওয়েবসাইটে আপলোড ও আপডেট করা হয়ে থাকে। তাই কোনো ব্যক্তির নাম কর্তনের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট পক্ষের নিয়মমাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে তালিকা থেকে কোনো নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’