ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশের আচরণ পক্ষপাতমূলক নয়। পুলিশ যা কিছু করছে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে করছে। অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে নয়।
আজ শুক্রবার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আছাদুজ্জামান মিয়া এই কথা বলেন। পুলিশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ আছে, সে সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ তথ্য নির্ভর নয়। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। বাহিনীটি দেশের সংবিধান ও আইনের আলোকে কাজ করে থাকে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমি সুদৃঢ়ভাবে বলতে পারি ঢাকা মহানগরীতে সুস্পষ্ট অভিযোগ, ওয়ারেন্ট বা মামলা ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে, পেশাদারত্বের সঙ্গে, অনুরাগ-বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সুমহান দায়িত্ব সংবিধান ও আইনের আলোকে পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
আছাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, তাঁদের নিরাপত্তা পরিকল্পনার কেন্দ্রে রয়েছেন ভোটাররা। নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী ও এজেন্টকেও পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা দেবে। কোনো ভোটার নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ায় বাধা পেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তাঁরা রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসারকে জানাতে পারবেন। চাইলে যে কোনো বাহিনীর কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এ ছাড়া জরুরি হেল্প লাইন ৯৯৯ ফোন করেও সেবা পাওয়া যাবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে যেন ভোটাররা ভোট দিতে পারে সে চেষ্টা তাঁদের থাকবে।
নির্বাচনের দিন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাঁরা প্লেনে, ট্রেনে বা বাসে কোথাও যাবেন তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালে বাধাহীনভাবে চলতে পারবেন। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের আওতামুক্ত থাকবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা প্রদানকারী সব প্রতিষ্ঠানের যানবাহন। পুলিশ দেখবে, এসব যানবাহন ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করছে কি না।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ঢাকায় নির্বাচন হবে ২ হাজার ১১৩টি কেন্দ্রে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য এবং আনসাররা দায়িত্ব পালন করবে। চার-পাঁচটি কেন্দ্রকে নজরদারিতে রাখতে টহল পুলিশ থাকবেন। এর বাইরে ঢাকা মহানগর এলাকায় থানা ও বিভাগ পর্যায়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মজুত থাকবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ঢাকায় মিরপুর, আবদুল গণি রোড, ডিপ্লোম্যাটিক চ্যান্সেরি গুলশান এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী কাজে টহল দিচ্ছে এবং বিজিবি, আনসার ও র্যাব কাজ করছে। ১৪টি স্থান থেকে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। সেখানেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।