পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তারের তিন দিন পরও ভারত পি কে হালদার সম্পর্কে বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়কে কোনো তথ্য জানায়নি। তবে তথ্য পাওয়ার পর তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি জাতীয় পরামর্শক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তাঁর (পি কে হালদার) ব্যাপারে ভারত সরকারের কাছ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কিছু পায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে কি না, আমি জানি না। তারা (ভারত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে আমরা নীতিগতভাবে যা যা করার দরকার, নিয়মানুযায়ী তা করব। যাতে আমরা তাঁকে বিচারের সম্মুখীন করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভারত সরকার প্রথম জানাবে এই লোক গ্রেপ্তার হয়েছে এবং হয়তো তাঁকে শাস্তি দেবে। সেগুলো হয়তো আমাদের বলবে, শাস্তির মেয়াদ বাংলাদেশে এসে শেষ করতে হবে। এটি আমরা অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও করি। আমাদেরটাও তারা করে। আমাদের সে প্রসিডিউর আছে। এসব ক্ষেত্রে উভয় দেশের একটা নীতি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
ভারতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পি কে হালদারকে দেশে আনা যাবে কি না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনুপ চেটিয়ার প্রথমে আমাদের দেশে বিচার হয়েছে। তারপর ওকে আমরা দিয়েছি। একই প্রসিডিউর হয়তো হবে। মামলায় হয়তো তার বিচার হবে। তারপর আমাদের দেবে। আমি জানি না। আমাদের আইন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের মতো পি কে হালদারকে দেশে ফেরানোর বিষয়টি ঝুলে থাকবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ধারণা ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সোনালি অধ্যায় সম্পর্ক, তাতে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যা করতে চাই, তারা আমাদের কথা শুনবে এবং সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’