একই দিনে পাল্টাপাল্টি ইফতার পার্টির আয়োজন করায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিভক্তি নতুন মাত্রা পেয়েছে। আজ বুধবার শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু এবং শহরতলির আড়পাড়া গ্রামে নিজের বাড়িতে বর্তমান জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পৃথক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এই দুই ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দুই নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা ঘোষণা করলেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন সিরাজুল ইসলামের ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান এবং এম এইচ খান মঞ্জুর ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বদরুল আলম। সম্পর্কে মনিরুজ্জামানের শ্যালক বদরুল আলম। সিরাজুল ইসলামের ইফতার পার্টিতে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জিলানী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আকবর হোসেন ফরাজীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ইফতার-পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা এম এইচ খান মঞ্জুর দলের সাধারণ সদস্য পদ নেই বলে দাবি করেন। তাঁরা বর্তমান সভাপতি সিরাজুল ইসলামে সঙ্গে মূল দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। অপরদিকে এম এইচ খান মঞ্জু আয়োজিত ইফতার পার্টি-উত্তর সমাবেশে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী আফজাল হোসেন, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী কবির, সাধারণ সম্পাদক এম মনসুর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন বক্তব্য দেন। বক্তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠনকে দুর্বল করার জন্য বর্তমান সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সমালোচনা করেন। তাঁরা নির্বাচনের আগে সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে অপসারণ করে জেলা বিএনপির কমিটিকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।