চার তরুণীকে পাচারের অভিযোগে মানবপাচারকারী চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, জয়পুরহাটের হাবিবুর রহমান খান (৪৭) ও ঝিনাইদহের রাজু আহম্মেদ (৪২)। ভুক্তভোগী চার তরুণীর বাড়ি খাগড়াছড়ি, যশোর, বগুড়া ও কক্সবাজারে।
মামলায় বলা হয়েছে, চার তরুণীকে গত ২১ মে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে চেন্নাই বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। পরে চেন্নাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে মানবপাচারকারীসহ চার তরুণীকে গত ৩১ মে তাঁদের বিমানে করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় শুক্রবার (১ জুন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশনের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াছ মানব পাচার আইনে মামলা করেন।
বাদী ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী চার তরুণী জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, তাঁদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল মানবপাচারকারীরা। কিন্তু তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) মুহাম্মদ মশিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে চার তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। আসামিরা আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
ভুক্তভোগী চার তরুণী দরিদ্র। পুলিশ কর্মকর্তা মশিউল বললেন, চার তরুণীকে তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে শিগগিরই আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।