আর্কাইভস দিবস আজ

পাঁচ কোটি পাতার দুর্লভ নথিপত্রের সংগ্রহশালা

আর্কাইভসের গুরুত্ব অনুধাবন করা ও জনসাধারণকে আর্কাইভস সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই দিবসের লক্ষ্য।

পলাশীর আম্রকাননে ইংরেজ বাহিনীর কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাহিনীর পরাজয়ের দুঃখ ও মীর জাফর আলীর বিশ্বাসঘাতকতার প্রতি ক্ষোভ এ দেশের মানুষের মন থেকে কোনো দিন যাবে না। একইভাবে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনমুক্তির জন্য চট্টলার বীর সন্তান মাস্টারদা সূর্য সেনের আত্মোৎসর্গের কথাও মানুষের মনে চির অম্লান হয়ে আছে। নীলকরদের অত্যাচার আর তাদের বিরুদ্ধে চাষিদের বিদ্রোহের কাহিনিও ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র আর সূর্য সেনের ফাঁসির রায়সহ বহু দুর্লভ ঐতিহাসিক ঘটনার নথিপত্র ও ছবি আগ্রহীরা দেখতে পাবেন এখন জাতীয় আর্কাইভসে গেলে। সেখানে এমন বহু পুরোনো তথ্য ও নথি সংরক্ষিত আছে। এমন বেশ কিছু চমকপ্রদ দুর্লভ নথিপত্র, নিদর্শনের প্রদর্শনী হচ্ছে জাতীয় আর্কাইভস ভবনের নিচের তলায়।

আজ ৯ জুন আন্তর্জাতিক আর্কাইভস দিবস। তবে ৬ জুন শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আর্কাইভস সপ্তাহ। এ উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আর্কাইভস ভবনের নিচতলায় চলছে দুর্লভ রেকর্ডপত্রের প্রদর্শনী। চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক আর্কাইভস দিবস পালিত হবে। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন আর্কাইভ (আইসিএ) এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘আর্কাইভ আর ইউ’ বাংলায় ‘তুমিই আর্কাইভ’। বিষয়টি নিয়ে আজ বেলা আড়াইটায় আর্কাইভস ভবন মিলনায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। আর্কাইভসের গুরুত্ব অনুধাবন করা ও জনসাধারণকে আর্কাইভস সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই এবারের প্রতিপাদ্যের মূল লক্ষ্য।

গবেষক বা যাঁরা প্রায়ই সেবা নিতে চান, তাঁরা নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ১০০ টাকা দিয়ে একটি কার্ড নিতে পারবেন। এ জন্য এক কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আনতে হবে।

যাত্রা হলো শুরু

বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর। প্রথমে এটি ছিল পরিদপ্তর, পরে এই দুটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অধিদপ্তর গঠন করা হয়। শিক্ষাবিদ কে এম করিম ছিলেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তরের প্রথম পরিচালক।

অবশ্য এর আগে পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান আর্কাইভস ও গ্রন্থাগারের পূর্ব পাকিস্তান শাখা হিসেবে ১৯৬৮ সালে এর কাজ শুরু হয়েছিল দুটো আলাদা ভাড়াবাড়িতে। আর্কাইভস ছিল সেন্ট্রাল রোডে আর গ্রন্থাগার ছিল এলিফ্যান্ট রোডে।

আগারগাঁওয়ে প্রায় চার একর জায়গায় জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর। এখানে প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগারের লাল ইটের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ১৯৮৫ সালে। তখন এই ভবনেই আর্কাইভস ও গ্রন্থাগারের কার্যক্রম চলত। গ্রন্থাগার ভবনের পাশেই জাতীয় আর্কাইভস তার নিজস্ব ভবনে চলে আসে ২০০৬ সালে।

২৭ বছর কাটল, তবু

জাতীয় আর্কাইভসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে প্রায় ২৭ বছর, তবু এর নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। জাতীয় আর্কাইভ দিবস সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে গত মঙ্গলবার কথা হয় মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া ও উপরিচালক তহমিনা আক্তারের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তাঁরা।

শুরুতে নিজস্ব অর্থায়নে জাতীয় আর্কাইভস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা ছিল তিনটি পর্যায়ে পুরো নির্মাণকাজ শেষ হবে। সম্মুখ অংশে থাকবে ছয়তলা ‘প্রশাসনিক ভবন’ এবং পেছনে ১৩ তলা সংরক্ষণাগার ভবন’। এ সংরক্ষণাগার ভবনেই দলিল ও নথিপত্র সংরক্ষিত থাকবে। ‘প্রকল্প উপদেষ্টা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায়। প্রথম পর্যায়ে ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের দোতলা ও সংরক্ষণাগার ভবনের তিনতলা পর্যন্ত নির্মিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। ওই বছরই জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন থেকে আর্কাইভস ভবনের প্রশাসনিক দপ্তর নিজস্ব ভবনে চলে আসে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০১২ সালে। তারপর থেকেই কাজ বন্ধ।

মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া জানালেন, নির্মাণকাজে বেশ কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল। এ জন্য তৃতীয় পর্যায়ের কার্যাদেশ দেওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আদালতে রিট করলে নির্মাণকাজ বন্ধের আদেশ আসে। ফলে এখন পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ের কাজ আর শুরু হয়নি। তবে সম্প্রতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি তাদের রিট প্রত্যাহার করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চলছে। হয়তো আগামী অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হতে পারে।

এ পর্যন্ত ছয়তলা প্রশাসনিক ভবন ও মিলনায়তনের নির্মাণ শেষ হয়েছে। সংরক্ষণাগার ভবনের ছয়তলা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে। এখন যে পরিমাণ দলিল–দস্তাবেজ আর্কাইভসে সংগৃহীত আছে, তা সংরক্ষণের জন্য এই ছয়তলা ভবনে পর্যাপ্ত পরিসর রয়েছে। তবে আর্কাইভসের নথি তো প্রতিবছরই ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে, এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। তাই সংরক্ষণাগার ভবনের বাকি অংশ দ্রুতই নির্মাণ করা দরকার।

পাঁচ কোটি পাতা

দিনে দিনে জাতীয় আর্কাইভসের সংগ্রহ ক্রমেই সমৃদ্ধ আর বিপুল হয়ে উঠছে। এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত নথিপত্রের পরিমাণ পাঁচ কোটি পাতা ছাড়িয়ে গেছে। এসব নথিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ বৈশিষ্ট্য অনুসারে পদ্ধতিগতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এই বিশাল খড়ের গাদা থেকে দরকারি সুচটি সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রতিটি শ্রেণির জন্য আলাদা করে ক্যাটালগ তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য ক্যাটালগের সংখ্যাও কম নয়—৬৫টি। যাঁর যে তথ্য–উপাত্ত দরকার, তিনি এই নির্দিষ্ট ক্যাটালগ থেকে তা খুঁজে নিতে পারবেন। ক্যাটালগের নির্দেশনা থেকে মূল পাতাটির সন্ধান পাওয়া যাবে।

তবে এখানে চলচ্চিত্র বা সংগীতের পুরোনো নিদর্শন পাওয়া যাবে না। সাধারণভাবে অনেকের ধারণা, জাতীয় আর্কাইভস আর চলচ্চিত্র আর্কাইভ একই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তা নয়, দুটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রতিষ্ঠান। জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৯৭৮ সালের ১৭ মে ‘ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আর্কাইভ’ যাত্রা শুরু করে। ১৯৮৪ সালে এর নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ’।

আর্কাইভস কী কাজ করে

সহজ কথায় আর্কাইভস হলো একটি সংরক্ষণাগার। এখানে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি রেকর্ড এবং অন্যান্য মূল্যবান ঐতিহাসিক নথিপত্র সুসংবদ্ধভাবে সুরক্ষিত রাখা হয়। এখানে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার থাকে উন্মুক্ত। সরকারি–বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত সূত্র থেকেও ‘আর্কাইভসামগ্রী’ সংগৃহীত হয়ে থাকে। এসব সামগ্রীর বয়স সরকারি ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ বছর এবং বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৩০ বছর হতে হয়।

পুরোনো হলেই সবকিছু আর্কাইভসামগ্রী হিসেবে বিবেচিত হয় না। এ বিষয়ে ১৯৮৩ সালে ‘ন্যাশনাল আর্কাইভস অর্ডিন্যান্স’ নামের একটি অধ্যাদেশ ছিল। তাকে সময়োপযোগী করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আর্কাইভসামগ্রীর ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য থাকতে হবে। এর মধ্যে নানা রকমের নথি, পাণ্ডুলিপি, পত্রিকা, চিঠি, নিবন্ধন, বই, মানচিত্র, তালিকা, নকশা, আলোকচিত্র, দলিল (হাতে লেখা বা আঁকা বা অন্য কোনোভাবে উপস্থাপিত), সরকারি দপ্তরের কাজের অংশ হিসেবে প্রস্তুত করা কাগজপত্র, রাষ্ট্রীয় চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, কমিশন রিপোর্ট, সিনেমাটোগ্রাফ, ফিল্ম, রেকর্ডিং, টেপ, ডিস্ক থেকে বিশিষ্টজনের হাতের লেখা পর্যন্ত বিপুল বিচিত্র জিনিসপত্র রয়েছে এই আর্কাইভসামগ্রীর তালিকায়। এ কারণেই আর্কাইভস সারা বিশ্বেই তথ্যের বিশ্বাসযোগ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে।

কীভাবে সেবা পাওয়া যাবে

আর্কাইভসের সেবা পাওয়া সহজ। যে কেউ ছুটির দিন ছাড়া সরকারি কর্মদিবসে জাতীয় আর্কাইভসের সেবা নিতে পারবেন। এখানে দুই ধরনের ব্যবস্থা আছে। গবেষক বা যাঁরা প্রায়ই সেবা নিতে চান, তাঁরা নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ১০০ টাকা দিয়ে একটি কার্ড নিতে পারবেন। এ জন্য এক কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আনতে হবে। আর যাঁরা শুধু একবার সেবা নিতে চান, তাঁরাও একটি ফরম পূরণ করে সেবা নিতে পারবেন।

নীল বিদ্রোহের নথি

জাতীয় আর্কাইভসের নথিপত্রের পাঁচ কোটি পাতার মহাসমুদ্রের মধ্যে রয়েছে বহু দুর্লভ মণিরত্ন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আছে অষ্টাদশ শতকের তালপাতায় লেখা পাণ্ডুলিপি। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রের নকশা, ১৭৮০ সালে মেজর রেনালের আঁকা ঢাকার আদি মানচিত্র, ১৭৮৪ সালে টিপু সুলতানের সঙ্গে ইংরেজদের স্বাক্ষর করা চুক্তিপত্র, ১৮৫৭ সালে পাবনায় নীল বিদ্রোহের নথি এবং ১৮৭৮ সালের দুর্ভিক্ষের নথি। এ ছাড়া আছে মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসির রায় ও ফাঁসির মঞ্চের ছবি, আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরী, পুরানা পল্টনে জাতীয় ঈদগাহের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেটের পাঠানো ৫০ বিঘা জমির দলিল। চা–পানের উপকারিতা–সম্পর্কিত পোস্টার, ভাষা আন্দোলনের নথি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মালার নথি, সদ্য গঠিত মুজিবনগর সরকারের হাতে লেখা পরিপত্র, লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদের নকশা, জেলা রেকর্ডস, প্রসিডিংস, বিভাগীয় কমিশনারের রিপোর্ট, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়, অধুনালুপ্ত ছিটমহল হস্তান্তরের নথি, ১৮৩২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব গেজেট, জেলা, বিভাগ, পরগনার মানচিত্র, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নথিসহ বহু নিদর্শন।

আরও কিছু কাজ

নথিপত্র সংরক্ষণ ছাড়া জাতীয় আর্কাইভস আরও কিছু কাজ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও গ্রন্থাগার বিষয়ে প্রশিক্ষণ। সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের এখন বছরে দুবার করে বনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে তিন মাসের সনদ ও এক বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পয়লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক আর্কাইভস দিবসে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিষয়ভিত্তিক সেমিনার ও প্রকাশনাও রয়েছে চলমান কার্যক্রমে।

সব নথি ডিজিটাল হবে

জাতীয় আর্কাইভসের আগামী কর্মপরিকল্পনা কী? মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া জানালেন, সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় জাতীয় আর্কাইভসকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত সব নথিপত্র স্ক্যান করে রাখা হবে। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। ফলে ভবিষ্যতে নতুন আসা সব নথি ডিজিটাইজ হবে। অবশ্য ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২০ লাখ পাতার নথি স্ক্যান করে নিজস্ব সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সেবা পাওয়া আরও সহজ হবে এবং পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে আর্কাইভসের সেবা পাওয়া যাবে।