করোনাকালীন সংকটের অজুহাতে নাটোর জেলা সদরের তেবাড়িয়ার পশুর হাটে অতিরিক্ত মাশুল আদায়ের দায়ে গতকাল রোববার বিকেলে হাট ইজারাদারকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান এই দণ্ডাদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোরবানির ঈদের (ঈদুল আজহা) আগে গতকাল ছিল তেবাড়িয়া পশু হাটের শেষ দিন। সকাল থেকেই হাট ইজারাদার পশুর অতিরিক্ত মাশুল আদায় করতে শুরু করেন। সরকারি নিয়মে প্রতিটি গরু/মহিষের জন্য বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ক্রেতার কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায়ের নির্দেশ ছিল। কিন্তু হাট কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গরুর জন্য ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে মাশুল আদায় করছিল।
সূত্র আরও জানায়, মুঠোফোনে খবর পেয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ হাটে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতারা অতিরিক্ত মাশুল আদায়ের অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক হাট থেকে চলে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান তেবাড়িয়া হাটে যান। সেখানে তিনি হাতেনাতে অতিরিক্ত মাশুল আদায়ের প্রমাণ পান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইজারাদারের রসিদ বইয়ে একটি গরুর মাশুল বাবদ ৮০০ টাকা আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত হাট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।