ঈদুল আজহার আগাম টিকিট বিক্রির পঞ্চম এবং শেষ দিনে গতকাল শুক্রবার ঘরমুখী মানুষের ভিড় আরও কম ছিল। ফলে গতকাল ১০টি আন্তনগর ট্রেনের প্রায় আড়াই হাজারের বেশি টিকিট অবিক্রিত থেকে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল বিক্রি হয়েছে ১১ আগস্ট যাত্রার আগাম টিকিট। চাহিদা কম থাকায় চট্টগ্রাম স্টেশনে কোলাহল তেমন ছিল না।
চট্টগ্রাম স্টেশন সূত্র জানায়, গতকাল ১০টি আন্তনগর ট্রেনের ৭ হাজার ১৮টির মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৪৪২টি টিকিট। সবচেয়ে কম বিক্রি হয়েছে দেশের প্রথম দুটি বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিট। ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ৮৯৯ আসনের বিপরীতে গতকাল ১৫৬টি এবং সোনার বাংলার ৫৮২ আসনের বিপরীতে ৩৯টি টিকিট বিক্রি হয়। এই দুটি ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে রয়ে গেছে।
গতকাল সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেসের। গতকাল ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ট্রেনটির ৬৭১টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। এরপর চাহিদা ছিল ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেসের। ট্রেনটির ৭০৯ আসনের বিপরীতে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৩৮টি টিকিট।
চট্টগ্রাম স্টেশনে টিকিট বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. আনসার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আগে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানচলাচলের জন্য আবার উপযোগী করে তোলা হয়েছে। যাত্রীরা সড়কপথ বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ঈদের সময় ঢাকা ফাঁকা থাকে। তাই ঈদের আগের দিন ঢাকাগামী যাত্রী এমনিতে কমে যায়।
আনসার আলী বলেন, ১১ আগস্টের ঢাকাগামী সুবর্ণ ও সোনার বাংলার পর্যাপ্ত টিকিট কাউন্টারে আছে। আরও নয় দিন সময় আছে। ১১ আগস্টের সুবর্ণ ও সোনার বাংলার সব টিকিট বিক্রি হয়ে যেতে পারে।
এদিকে বৃষ্টিতে খানাখন্দে ভরে যাওয়া ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক মেরামত হয়েছে।
এ ছাড়া দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুর সেতু চালু হয়ে গেছে। ফলে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকায় যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা। এ কারণে ট্রেনের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমেছে বলে রেল কর্মকর্তারা মনে করছেন।