রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ঘাঘট নদের কুটির ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য তিন বছর আগে সীমানা নির্ধারণসহ একাধিকবার মাটি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সেতুটি আর হয়নি। ফলে তিন ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেতগাড়ী, আলমবিদিতর ও বড়বিল ইউনিয়নকে বিভক্ত করে রেখেছে ওই ঘাঘট নদ। এই তিন ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে নগরডাঙ্গী কুটির ঘাট। ওই সব ইউনিয়নের বাসিন্দারা পারাপার হয় কুটির ঘাট দিয়ে। বর্ষার সময় নদীতে পানি বাড়লে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। আর পানি কমলে বাঁশের সাঁকো।
এ ছাড়া ওই ঘাটের উত্তরে বড়াইবাড়ী হাট, পশ্চিমে সয়রাবাড়ী, দক্ষিণে বেতগাড়ী, বকশীগঞ্জ, পূর্বে মন্থনা হাট ও উপজেলা সদর। সেতু না থাকায় উৎপাদিত পণ্য হাটে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের নগরডাঙ্গী গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ‘হাটোত ধান-পাটা বেচপার গেইলে কখনো নৌকাত, কখনো
বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়া পার কইরবার নাগে। অ্যাতে করি ধান-পাটা ধরি নদীত উল্টি পড়ি কতবার যে ভিজি গেইচে সেই কথা কয়া শ্যাষ করা যাবার নেয়।’
কুটির ঘাট এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ঘাটে সেতু হলে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগে অন্তত আট কিলোমিটার পথ কমে আসবে।
পাইকান গ্রামের শিক্ষক ইব্রাহিম আলী বলেন, গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে রোগীকে উপজেলা হাসপাতালে নিতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে পথেই অনেক রোগী মারা যায়।
আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন বলেন, ‘ওই নদের ওপর সেতু নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। তিন বছর আগে সেখানকার মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপরও কেন সেতুটি হচ্ছে না তা বুঝতে পারছি না।’
উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা গত সোমবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমানের কাছে সেখানে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিলাম। তিনি দ্রুত প্রস্তাবনা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দুই-এক দিনের মধ্যে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’