র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সাত দিনের কম সময়ের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যখন আব্দুল মোমেনকে তাঁর মুঠোফোনে ফোন করেন, ওই সময় তিনি বঙ্গভবনে ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নৈশভোজে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গভবনে থাকাকালেই ফোনটি ধরেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের চলমান সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষণ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে জানানো হয়, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান।
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাব এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও রয়েছেন, যিনি এখন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং র্যাব ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে।