ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ছয় জেলার ৭ হাজার ৭০০ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪১ জনকে পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় অতিরিক্ত অনুদান হিসাবে ৭৭ কোটি ৬৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর শ্যামপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডরপ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক এন্ড ওয়ার্ক্স) আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রেলওয়ের চিফ রিসেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপপরিচালক মো. মহব্বতজান চৌধুরী, ডরপ এর চেয়ারম্যান মোঃ আজহার আলী তালুকদার, ডরপ’র প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রথম গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডরপ’র টিম লিডার মো. আফতাব উল আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমন্বিত ভাবে কাজ করায় পুনর্বাসন কার্যক্রম সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনে, ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে বক্তারা একটি দেশীয় সমন্বিত পুনর্বাসন নীতিমালা প্রণয়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ডরপ প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থসামাজিক অবস্থা জরিপসহ, জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত নগদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রদত্ত পুনর্বাসন সুবিধা হস্তান্তর, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের জীবিকায়ন পুনঃস্থাপন প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করছে।