উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বড় জনসমাগম হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিদের মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটরগুলো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মাওয়া প্রান্তে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একটি স্থায়ী সাইট এবং গ্রামীণফোন ও টেলিটকের অস্থায়ী সাইট স্থাপন করাসহ বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, মোবাইল অপারেটরদের নেওয়া পদক্ষেপ ও নেটওয়ার্কের মান যাচাইয়ের জন্য আজ পদ্মা সেতু এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান সেতুর মাওয়া প্রান্তে স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক দল সেতুর ওপর ও জাজিরা প্রান্তে নেটওয়ার্কের মান যাচাই করে। এ সময় মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে তাদের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল অপারেটরগুলো মাওয়া ও জাজিরা—দুই প্রান্তের স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইটে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি, সর্বোচ্চ পরিমাণে তরঙ্গ, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দুটি অ্যানটেনা, ছয়টি ফোরথসেল ইত্যাদি সংযোজন করেছে। এ ছাড়া টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি প্রযুক্তির সক্ষমতা এবং ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পদ্মা সেতু ও আশপাশের এলাকায় নেটওয়ার্কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সব মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান বিশেষ তদারক দল গঠন করেছে।
পদ্মা সেতু ও আশপাশের এলাকার নেটওয়ার্কের পাশাপাশি বাবুবাজার-ভাঙ্গা হাইওয়ে–সংলগ্ন এলাকার মহাসড়ক ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের জন্য মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটররা তাদের সাইটের ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বাবুবাজার-ভাঙ্গা হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় গ্রামীণফোনের ৫০টি সাইটের ট্রান্সমিশন ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া টেলিটক এনটিটিএন অপারেটরের কাছ থেকে ট্রান্সমিশনের উদ্দেশ্যে আনলিমিটেড ব্যান্ডউইডথ নিয়েছে।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ ‘মাই জিপি’ ব্যবহার করে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিনা মূল্যে যেকোনো স্থান থেকে সরাসরি উপভোগ করতে পারবেন।