পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় কাকলি ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানি আবদুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার সন্ধ্যায় এক অফিস আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর আগে সকালে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে কে টাইপ ফেরি কাকলি ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে ২৪ দিনের মধ্যে চতুর্থ দফায় পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটল।
বিআইডব্লিউটিসির আদেশে বলা হয়েছে, ওই রুটে ঝড়বৃষ্টির সময় ফেরি না চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অমান্য করে ভারপ্রাপ্ত মাস্টার অফিসারের ফেরিটি পরিচালনা করা উচিত হয়নি।
তা ছাড়া ফেরিতে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত মাস্টার এবং হুইল সুকানি দক্ষতার সঙ্গে ফেরিটি পরিচালনা করলে দুর্ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব হতো মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। দায়িত্বপূর্ণ কর্মচারী হিসেবে তাঁদের অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে ফেরিটি পরিচালনা করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার বাদল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সকালে যখন ফেরিটি বাংলাবাজার থেকে ছাড়া হয়, সে সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছিল না। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পরে সেতুর কাছাকাছি গেলে বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়।
বাদল হোসেন বলেন, এই ফেরি চেইনের মাধ্যমে (মেকানিক্যাল) নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সে কারণে প্রবল স্রোতের মধ্যে ফেরিটি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে দুদিন আগেই চিঠি দিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তারপর এ বিষয়ে তিনি আর কোনো নির্দেশনা পাননি।
তাঁর চিঠির বিষয়ে জানতে শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলামকে ফোন করলে ‘মিটিংয়ে’ আছেন জানিয়ে কেটে দেন। পরে কয়েকবার চেষ্টা করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ