মানিকগঞ্জে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি কমে এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানিও কমেছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমার নিচে নামেনি।
সব নদ-নদীতে পানি কমায় মানিকগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বসতভিটা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা—এই ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও শিবালয়ে যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে। একইভাবে হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতেও পানি কমেছে। আর জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সদর ও ঘিওর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালীগঙ্গা নদী। আর সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদী। এ দুটো নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা সদরের তরা পয়েন্টে কালীগঙ্গা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার এবং জাগীর পয়েন্টে ধলেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অবশ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ধলেশ্বরী নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার এবং কালীগঙ্গার পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে।
এদিকে নদ-নদীতে পানি কমলেও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। মানিকগঞ্জ সদরের নতুন বসতি-ঘোনা সড়কের কয়েকটি স্থানে পাকা সড়ক বন্যার পানিতে ধসে গেছে। নতুন বসতি এলাকায় পাকা রাস্তা ধসে গেছে। এ ছাড়া এই সড়কের দীঘি মাঝিপাড়া এলাকার ছোট সেতুটি হেলে পড়েছে। এতে এই সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
জেলার দৌলতপুর এবং হরিরামপুরের মানুষজন বন্যায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। এই দুটি উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এবং নদী-তীরবর্তী মানুষজন এখনো পানিবন্দী। নিচু বসতভিটায় এখনো পানি উঠে আছে।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, মানিকগঞ্জে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা-পরবর্তী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।