বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করা চুক্তিতে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, আবুল কালাম আজাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ২১ জুলাই থেকে বাতিল করা হলো। এর মানে হলো তিনি আর ডিজি পদে নেই।
নতুন ডিজি নিয়োগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, সর্বোচ্চ পর্যায়সহ সবাই মিলে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দরকার হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আলোচনা করে নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। মূলত এই পদে চিকিৎসকদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পদের জন্য কয়েকজন চিকিৎসকের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সূত্রমতে, বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে এই নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। ফলে কে হবেন, এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন চুক্তিতে থাকা আবুল কালাম আজাদ। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাঁর চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই ছিল। অপসারিত হওয়ার চেয়ে পদত্যাগ সম্মানজনক। আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগের সুযোগ নিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সব সময় ছিল। করোনা মহামারির সময় এসব অভিযোগ আরও বড় আকারে দেখা দেয়। স্পষ্ট হয়ে ওঠে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অদক্ষতা, ব্যর্থতা। জেকেজি ও রিজেন্টের কেলেঙ্কারিতে মানুষ হতবাক হয়। কিছু মানুষ মনে করে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে এই মাত্রার দুর্নীতি করা সম্ভব না।