অবসরে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুঁ মারে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মাতে। কেউ পরিবারকে সময় দেয়, আবার কেউ ঘুমিয়ে পার করে দেয়। কেউ আবার বই পড়ায় মগ্ন হয়, কেউবা সংবাদপত্রে বুঁদ হয়। কিন্তু তরুণেরা দিনে দিনে বই বিমুখ হয়ে পড়ছে। কমছে তাদের সংবাদপত্র পড়ার হারও।
তরুণদের মধ্যে প্রথম আলোর উদ্যোগে ওআরজি-কোয়েস্ট পরিচালিত জরিপে এমন চিত্র এসেছে। এতে জানা গেছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে তরুণদের পাঠ্যসূচির বাইরের বই পড়ার হার প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। আর সংবাদপত্র পড়ার হার কমেছে ১০ শতাংশ। এই দুই কাজে তরুণদের ব্যয় করা দৈনিক গড় সময়ও কমেছে এই দুই বছরের ব্যবধানে।
জরিপ থেকে জানা গেছে, মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের সংবাদপত্র পড়ার হার বেশি। আবার শহরাঞ্চলের তরুণদের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের তরুণেরা অবসরে তুলনামূলক বেশি সংবাদপত্র পড়ে।
প্রাবন্ধিক, কবি ও লেখক প্রমথ চৌধুরী বই পড়ার ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেটা হতে পারে কোনো গল্পের বই বা ইতিহাস কিংবা রাজনীতিবিষয়ক বই। কারণ, বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ মানুষ হয়ে ওঠে। কিন্তু জরিপের ফলাফল বলছে, তরুণদের বই পড়ার হার কমছে। সংবাদপত্রের মতো বই পড়ার হারেও শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের তরুণেরা কিছুটা এগিয়ে। আবার ছেলেদের থেকে মেয়েরা পাঠ্যসূচির বাইরের বই পড়ে বেশি।
জরিপের ফলাফলের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণদের বই পড়ার হার তুলনামূলক বেশি। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী তরুণদের মধ্যে বই পড়ার হার বেশি।