শামীম ওসমানের নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে তাঁর পক্ষে নৌকায় ভোট চাইলেন বিএনপির নেতা মনিরুল আলম ওরফে সেন্টু চেয়ারম্যান। শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। আর মনিরুল ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটিতে শামীম ওসমানের ওই নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, ‘শামীম ওসমান এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। যেহেতু আমাদের দলের কোনো প্রার্থী এখানে নেই, তাই আমরা তাঁকে সমর্থন জানিয়েছি।’
এদিকে নৌকার পক্ষে চেয়ারম্যান মনিরুলের ভোট চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে বিএনপিতে। এই আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মনির হোসাইন কাসেমী। শামীম ওসমানের পক্ষে বিএনপির নেতার ভোট চাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় সবাই হতবাক হয়েছেন। দলের নেতা–কর্মীসহ আমার মধ্যেও বিষয়টি খারাপ লেগেছে। তিনি কেন সেখানে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইলেন, তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। দল তাঁর কাছে জবাব চাইতে পারে।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, দলের পদে থেকে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে তিনি দল ও দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গেছেন। এটা দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। এটা তিনি করতে পারেন না। কেউ যদি ধানের শীষে ভোট না চেয়ে নৌকা মার্কাকে সমর্থন দেন, তাহলে তো বিবেক অনুযায়ী নিজ থেকে দলে থাকাই উচিত না। দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নসহ (কতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েতনগর, কাশিপুর ও বক্তাবলী) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩৯ জন। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে এ আসনেই সবচেয়ে বেশি ভোটার। জেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন কুতুবপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার প্রায় পৌনে ২ লাখ।