নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় একই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৪ জন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ১ সদস্য, পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ ৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৪৩ জন।
এ নিয়ে জেলায় ৭৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। আর মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
আজ মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে জেলার দুটি নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্র—আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নমুনা পরীক্ষার সর্বশেষ ফলাফল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান বলেন, নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে এনএসআই–এর নোয়াখালী কার্যালয়ের একজন কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪৩ জন বেগমগঞ্জ উপজেলার ও সদর উপজেলার ৩১ জন। বাকিরা অন্য উপজেলার।
সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর বলেন, নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মারা যাওয়া দুজনের শরীরেও করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে ৯ জন, সেনবাগে ৪, সোনাইমুড়ীতে ২, সদরে ১ ও সুবর্ণচরে ১ জন রয়েছেন।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, সেনবাগে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ আরও চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালী পৌরসভার একজন কাউন্সিলরও কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন। তিনিসহ প্রায় সবাইকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালী স্টেডিয়ামে কোভিড-১৯ হাসপাতালের ইনচার্জ নিরুপম দাশ বলেন, গত প্রায় এক মাসে এই হাসপাতাল থেকে ৪৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২০ জন পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।