নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

মাইনুল আহসান নোবেল
ছবি : প্রথম আলো

সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন। তিনি বলেন, আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ফেসবুকে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে গত সোমবার মামলা করেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু।

এর আগে নোবেলের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইথুন বাবু। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে দেওয়া এক পোস্টে ইথুন বাবুকে চোর বলে আখ্যায়িত করা হয়। ওই পোস্টে নোবেল লিখেছেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালায় দিসে।’

ইথুন বাবু প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘সংগীতাঙ্গনে আমার দীর্ঘ জীবনের পথচলা। গুণীদের সঙ্গে যেমন কাজ করেছি, তেমনি তরুণদের সঙ্গেও কাজ করেছি। এই দীর্ঘ সময়ের সংগীতজীবনে কেউ কোনো দিন এমন কথা বলতে পারেনি। নোবেল আমাকে সে ধরনের কথা বলেছে! আমি নাকি চোর! আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছে। ছেলে এমবিএ করছে। পরিবারের কাছে, আমার কর্মক্ষেত্রে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের কাছে এভাবে নোবেল আমার সম্মানহানি করবে, তা মেনে নিতে পারি না।’

ইথুন বাবু আরও বলেন, ‘শ্রোতা-ভক্তসহ সারা দেশে সংগীত এবং সংগীতের বাইরে আমার অসংখ্য বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। নোবেলের পোস্টের কারণে সবার কাছে আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি জিডি করার সময় পুলিশ কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করেছি, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য। নিশ্চয়ই কারও উসকানি আছে। নয়তো এমন সাহস নোবেল কোথায় পেল!’

ভারতের জি বাংলার সারেগামাপা দিয়ে আলোচনায় আসা তরুণ এই সংগীতশিল্পী ফেসবুকে নানা বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে সমালোচিত হচ্ছিলেন। বিশেষ করে দেশের জ্যেষ্ঠ সংগীতশিল্পীদের নিয়ে নোবেল বাজে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন। ইথুন বাবুকে নিয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেই সূত্র ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

এদিকে নোবেলকে নিয়ে বিনোদন সাংবাদিক আল কাছিরের তৈরি প্রতিবেদন সময় নিউজে প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন নোবেল। হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ১৭ মে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেদিন বেলা সাড়ে তিনটায় সময় মিডিয়া লিমিটেডের প্রশাসন ও পরিচালন বিভাগের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সৈয়দ আসাদুজ্জামান ঢাকার কলাবাগান থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিসের জিডি হইছে? ও জিডি-মিডি দেহে নেব নে।’