নেই শুধু নুসরাত...

>সবাইকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। স্থানীয় ছাবের সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে দেশজুড়ে। ছবিগুলো বৃহস্পতিবারের—
আগুনে দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া নুসরাত জাহান রাফির সবকিছু স্মৃতির পাতায় বন্দী। লেখালেখি করা তাঁর অন্যতম শখ ছিল। নুসরাতের পড়ার ঘরে লেখা আছে বিভিন্ন কথা, বিশেষ করে তাঁর মাকে নিয়ে।
আগুনে দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া নুসরাত জাহান রাফির সবকিছু স্মৃতির পাতায় বন্দী। লেখালেখি করা তাঁর অন্যতম শখ ছিল। নুসরাতের পড়ার ঘরে লেখা আছে বিভিন্ন কথা, বিশেষ করে তাঁর মাকে নিয়ে।
আলিম পরীক্ষার দুটি বিষয়ে অংশ নিয়েছিলেন নুসরাত জাহান। বৃহস্পতিবারও ছিল তাঁর পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত জাগতিক কোনো পরীক্ষাই তাঁকে আর স্পর্শ করতে পারল না। পরীক্ষার উপস্থিতির খাতায় নুসরাতের দুটি স্বাক্ষর আছে, বাকিগুলোতে অনুপস্থিত লেখা।
তাঁর বইয়ের মলাটের পাতায় লেখা ‘একলা চলো, একলা চলো..., যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে...।
নিহত নুসরাতের বাড়ি। এই টিনের ঘরেই থাকতেন তিনি। তাঁর বাড়িতে অনেক মানুষের ভিড়।
আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন সহপাঠীরা। স্বপ্নের পিছু ছুটছেন তাঁরা। কিন্তু নুসরাত থেমে গেছেন, পুড়ে গেছে তাঁর স্বপ্ন। আশপাশে সবাই পরীক্ষা দিচ্ছেন, শুধু নুসরাতের আসনটি ফাঁকা। সোনাগাজী, ফেনী।
নুসরাতের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস।
নুসরাতের জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ।