নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭১ শতাংশের মৃত্যু

খেজুরের কাঁচা রস পান করেই মূলত এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দুই দশকে মৃত্যু ২২৯ জনের।

  • নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি এনসেফালাইটিস নামের একধরনের মস্তিষ্কের প্রদাহ ও তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।

  • গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিপাহ সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারির সম্ভাব্য ১০টি হুমকির একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

শীতকালে খেজুরের রস বাদুড়ের খাবারের মধ্যে একটি। বাদুড়ে মুখ দেওয়া খেজুরের রস পান করলে মানুষের নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে

দেশে গত ২০ বছরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশে ৩২২ জনের দেহে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২২৯ জন মারা গেছেন।

চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনো সংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যুর হার এত বেশি বলে জানা যায়নি। মৃত্যুর আশঙ্কা থাকার পরও নিপাহ ভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। মূলত খেজুরের কাঁচা রস পান করেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে। খেজুরের রসে বাদুড় মুখ দেয়। সেখান থেকেই মানবদেহে ছড়ায় এ ভাইরাস।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও মৃত্যুর হাত থেকে যাঁরা ফিরে আসেন, তাঁদের জন্য এক ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করে। বেঁচে থেকেও তাঁরা স্মৃতি হারিয়ে ফেলতে পারেন এবং পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন চিরতরে।

বাংলাদেশে দুই দশক ধরে এর সংক্রমণ ঘটছে। গত বছরও দুজন রোগী পাওয়া গেছে, যাঁরা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভাইরাসটি থেকে বাঁচার প্রধান উপায় হলো খেজুরের কাঁচা রস পান বন্ধ করা। কিন্তু এটি বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা নিয়ে সেই অর্থে কোনো প্রচার নেই।

বাংলাদেশে প্রাদুর্ভাব শুরু যখন

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আকারের প্রাদুর্ভাব হয় ফরিদপুর জেলায়, ২০০৪ সালে। সে বছর ফরিদপুরে নিপাহ ভাইরাসে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়, তার মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পরপরই আইইডিসিআর এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) সম্মিলিতিভাবে এ ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে নামে। তখন এতে অর্থসংস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। ওই দুই সংস্থার হিসাবে, বাংলাদেশে গত ২০ বছরে ৩২টি জেলায় নিপাহর প্রাদুর্ভাব হয়েছে ৩৮টি।

কোন বাদুড় ভাইরাস ছড়ায়

বাদুড়ের প্রজাতিগুলোর মধ্যে গ্রেটার ইন্ডিয়ান ফ্রুট ব্যাট খেজুরের রস পছন্দ করে। আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, এ প্রজাতির বাদুড়ের প্রজনন মৌসুম হলো জুলাই থেকে অক্টোবর মাস। আর ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত তারা বাচ্চা উৎপাদন করে। ঠিক এ সময় বাদুড়ের খাবারের চাহিদা অনেক বেশি হয়। দেশে গাছে শীতকালে মাত্র ১৩টি ফল থাকে। ফল কম থাকে বলে তখন খেজুরের গাছ বাদুড়ের জন্য খুব উপাদেয় খাবারের আধার হয়ে যায়।

দেশে নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ হয় উল্লেখ করে আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাদুড় খেজুরের রস বের হওয়ার স্থানটি চেটে রস খায়। কখনো আবার সেখানে প্রস্রাব ও পায়খানা করে। বাদুড়ের মুখের লালা, প্রস্রাব ও পায়খানার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস স্থানান্তর হয়। বাদুড়ে চাটা বা প্রস্রাব-পায়খানা করা স্থান থেকে সংগৃহীত কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস প্রাণী থেকে প্রথমে মানুষে ছড়ায়। এরপর আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে আরেক জন আক্রান্ত হতে পারে। খাদ্যের মাধ্যমেও এটি ছড়ায়। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ধরন কিছুটা করোনাভাইরাসের মতো। তবে এতে মৃত্যুর হার করোনার চেয়ে অনেক বেশি। পেয়ারাসহ বিভিন্ন বাদুড়ে খাওয়া ফল থেকেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।

আইসিডিডিআরবি নিপাহ ভাইরাসের জন্য দায়ী বাদুড়ের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছে। সংস্থাটির সহকারী বিজ্ঞানী আশরাফুল ইসলাম বলছিলেন, ‘বাদুড়ের চলাচলের গতিবিধির উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, খেজুরের গাছ যেখানে আছে, শুধু তার আশপাশের এলাকার বাদুড় এ রস খায়, তা নয়। আমরা দেখেছি, একটি বাদুড়ের প্রতি রাতের পরিভ্রমণ এলাকা ১০ কিলোমিটারের বেশি। তাই অনেক দূরে গিয়েও বাদুড় রস খেয়ে আসতে পারে। কাছেপিঠে বাদুড়ের আবাস না দেখলেও পরিতৃপ্ত হওয়ার কিছু নেই।’

লক্ষণ কী কী

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি এনসেফালাইটিস নামের একধরনের মস্তিষ্কের প্রদাহ ও তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বলছে, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, গা ব্যথা, ঘাড় ও পিঠ শক্ত হয়ে যাওয়া, বমিবমি ভাব এবং গলাব্যথা হতে পারে। এরপর আক্রান্ত ব্যক্তি প্রলাপ বকা শুরু করতে
পারে। রোগী আলো সহ্য করতে পারে না। কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতির অবনতি হলে হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া অথবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিপাহ ভাইরাসের কোনো টিকা নেই। কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই।

আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী সৈয়দ মঈন উদ্দীন সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, এনসেফালাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তি সেরে উঠতে পারে। কিন্তু তাদের দীর্ঘ মেয়াদে স্নায়ুর বড় ধরনের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। অনেকের আচরণ পরিবর্তন হয়ে যায়, স্মৃতিনাশ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার দেশভেদে ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ। এটা নির্ভর করে একটি দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর।

বাংলাদেশে করোনা মহামারির মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত করোনার গড় শ‌নাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

যেসব এলাকায় পর্যবেক্ষণ হয়

বাংলাদেশে ২০০৪ সালে ফরিদপুরে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণে ৩৭ জনের মৃত্যুর পর মোট ১১টি জেলায় পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। একসময় আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে এ কাজ করত। পরে অর্থের ঘাটতি দেখায় রাজশাহী, রংপুর ও ফরিদপুরে সক্রিয়ভাবে এবং টাঙ্গাইল ও রাজবাড়ী জেলায় পার্শ্ব পর্যবেক্ষণ চলতে থাকে। ২০১৭ সালে এসে খুলনা ও চট্টগ্রামকে সক্রিয় অঞ্চলের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ২০২০ সালে এসে এর পরিধি আরও বাড়ানো হয়। নতুন তিন জেলা বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট যুক্ত হয়। অর্থাৎ এখন মোট ১০ জেলায় সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালু আছে। এসব জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা জেলা হাসপাতালগুলো থেকেই মূলত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

খেজুরের রস কি বাদ দিতেই হবে

বিজ্ঞানীদের কাছে এর উত্তর একটিই, ‘হ্যাঁ’।

দিনের ভাগে ধারণ করা রস খেলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না বলে একটি ধারণা আছে। আবার খেজুরগাছে রস আহরণের এলাকাটি বাঁশের চাটাই দিয়ে আবৃত করে দিলে সেখানে বাদুড় মুখ না-ও দিতে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস।

এ উভয় যুক্তির খণ্ডন করেন চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবার সন্ধ্যা থেকে পুরো রাত—এ দুই সময়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। অনেকে মনে করেন, দিনে যেহেতু বাদুড় বের হয় না, তাই সে সময় রস তাদের নাগালের বাইরে থাকবে। কিন্তু বাদুড় মুখ লাগালে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রসে নিপাহ ভাইরাস চার দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। আর রস শুধু বাদুড় খায় না। ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালিও খায়। উভয়ের লালা, মলমূত্র মানবশরীরের জন্য ক্ষতিকর জীবাণু বহন করতে পারে।

দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, বাঁশের চাটাই দিয়ে রস ধারণ করার জায়গা ঢেকে দেওয়া কি কাজে লাগে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে বানা নামে পরিচিত এ পদ্ধতিও সচরাচর কাজে লাগে না। কারণ, বাদুড় শুধু মুখ দেয় না, রসে প্রস্রাব ও পায়খানাও করতে পারে। চাটাই দিয়ে তা ঠেকানো সম্ভব নয়।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বারবার খাঁচা পরিবর্তন করতে খেজুরের রস সংগ্রহকারী খুব একটা আগ্রহী হন না। এটা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি। তাই খেজুরের কাঁচা রস অবশ্যই বর্জন করতে হবে।’

খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে (ফুটিয়ে) বা গরম করে পান করলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের কোনো আশঙ্কা নেই। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, খেজুরের রস গরম করে তা থেকে গুড় তৈরি করলে সেখানে ভাইরাস থাকার কোনো ভয় থাকে না। কারণ ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রস গরম করলে সেখানে ভাইরাস মরে যায়।

বিশ্বে শুধু বাংলাদেশেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ

আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী সৈয়দ মঈন উদ্দীন সাত্তার জানান, ফ্রুট ব্যাট বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয়। তবে এসব দেশের মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই নিপাহ ভাইরাসের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ আছে। আর এ কাজ প্রায় দুই দশক ধরে করে আসছে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি।

বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে নিপাহ ভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণসহ রোগের কারণ এবং সংক্রমণের গতিশীলতা বোঝার জন্য ১৫ বছর ধরে সম্প্রসারিত নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ নজরদারি চলছে। এ গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিপাহ সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারির সম্ভাব্য ১০টি হুমকির একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়ায় এর আগে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণ হিসেবে বাদুড়ের অর্ধেক খাওয়া ফলকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে এযাবৎ যতগুলো কেস পাওয়া গেছে, সব কটি খেজুরের রস খেয়েই হয়েছে।

রস পানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০১১ সালে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এর ব্যবস্থাপনা, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে একটি জাতীয় নির্দেশিকা জারি করে। এতে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশিকায় খেজুরের কাঁচা রসকে নিপাহ ভাইরাসের প্রধান বাহন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে এ-সংক্রান্ত তথ্যচিত্র ও বিজ্ঞাপন টেলিভিশনে প্রচার, স্বাস্থ্যবার্তা রেডিওতে প্রচার এবং পোস্টারের মাধ্যমে সতর্কবার্তা তুলে ধরা। মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠকে, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসে এ-সংক্রান্ত সচেতনতামূলক তথ্য তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। স্থানীয় বাজার, স্কুলে মাইকে প্রচারের কথাও বলা হয়।

মাঠপর্যায়ে প্রচার কতটুকু হচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মো. ইব্রাহিম টিটন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর শীতে কোনো মাইকিং বা প্রচার হয়নি। তবে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা রুটিন দায়িত্বের অংশ হিসেবে এসব বিষয় প্রচার করেছেন।’

নিপাহ ভাইরাস নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবেও প্রচার অনেক কম। টেলিভিশন বা গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রচারমূলক বিজ্ঞাপনও কম। এর কারণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞাপন খাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট অনেক কম। যতটুকু আছে, তা দিয়ে নানা বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়। সুনির্দিষ্টভাবে নিপাহ ভাইরাস নিয়ে অনেক প্রচার প্রয়োজন হলেও তা করা সম্ভব হয় না।