নাসির-তামিমার বিচার শুরু

নাসির ও তামিমা
ছবি: সংগৃহীত

তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও তামিমা সুলতানাকে বিয়ের অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই মামলায় তামিমার মা সুমি আক্তার অব্যাহতি পেয়েছেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী তামিমা সুলতানা। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত আজ বুধবার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ দেন।

সেদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে ক্রিকেটার নাসিরের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ আদালতে বলেছিলেন, তামিমার সঙ্গে মামলার বাদী রাকিবের তালাক কার্যকর হয় ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল। আর নাসির তামিমাকে বিয়ে করেন এর চার বছর পর। সুতরাং নাসিরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ টেকে না। আর তামিমা আইন মেনে রাকিবকে যথাযথভাবে তালাক দিয়েছেন, তালাক কার্যকর হয়েছে। তালাকের নোটিশ দেওয়ার দায়িত্ব কাজী অফিসের। তামিমার মায়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও সঠিক নয়। পরে ক্রিকেটার নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি আদালতকে বলেছিলেন, আসামিপক্ষ থেকে ২০১৭ সালে রাকিব ও তামিমার মধ্যে তালাক কার্যকর করার কথা সঠিক নয়। তামিমা ২০১৮ সালের পাসপোর্টে স্বামীর নাম হিসেবে রাকিবের নাম উল্লেখ করেন। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন আসামিরা।

এ মামলায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর নাসির, তামিমা ও সুমি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেদিন আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।

আর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির, তামিমা ও সুমির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত সেদিন পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নেন। এ ছাড়া মামলার তিন আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ জানান, তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও ক্রিকেটার নাসিরের তামিমাকে বিয়ে করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ডাক বিভাগের মাধ্যমে তালাকের নোটিশটিও ঠিক নয়।

এখানে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তালাক না হওয়ার তথ্য জানা সত্ত্বেও তালাক হয়েছে, এমন তথ্য প্রচার করায় নাসির, তাঁর স্ত্রী তামিমা ও তামিমার মা সুমির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে।

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর নতুন করে বিতর্ক ওঠে এই ক্রিকেটারকে ঘিরে। তামিমা তাঁর আগের স্বামীকে তালাক না দিয়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলা করেন তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান।