নারায়ণগঞ্জে আগুন লেগে দগ্ধ নয়জনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত দুজন হলেন ছায়া রানী (৬০) ও তাঁর মেয়ে সুমিত্রা (২৭)। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হকবাজার এলাকায় চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন এক পরিবারের নয়জন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, যে দুজন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ছায়া রানীর শরীরের ৯৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সুমিত্রার শরীরের ৫৬ শতাংশ দগ্ধ হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া দুজনের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আগুনে দগ্ধ ওই বাড়ির শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণের (৪০) ভাষ্য, পরিবারের সবাই দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে আলো জ্বালাতেই আগুন দেখতে পান। এ ঘটনায় সবাই দগ্ধ হন। প্রতিবেশী অনাথ চন্দ্রসহ অন্যরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
আগুনে আরও দগ্ধ হন শ্রীনাথের স্ত্রী অর্চনা (৩৫), মেয়ে অনামিকা (১৫), ছেলে অর্পিত (৯), মা ছায়া রানী (৬০), বোন সুমিত্রা (২৭), ভগ্নিপতি নারায়ণ চন্দ্র (৪০), ভাতিজা প্রমিত (১৪) ও ভাই (শ্রীনাথের) শাওন (১০)।