নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘এখন এই নারায়ণগঞ্জ একটি সুন্দর শহর হবে। এখানে আর কোনো সাত খুন হবে না, আর কোনো ত্বকী হত্যা হবে না। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাব প্রাঙ্গণে ই-ট্রাফিকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা এখানে রাজনীতি করার জন্য আসি নাই, দল করার জন্য আসি নাই। যে সকল সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুকে ধরা হচ্ছে তারা হয়তো কারও ভাইবোন হতে পারে কিংবা কারও লোক হতে পারে। এতে কারও মন খারাপ হতে পারে, কিন্তু আমাদের অভিযান চলবেই।’
এসপি হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘আমরা সেবার মানসিকতা নিয়েই কাজ করছি। আমরা কোনো গ্রুপিং কিংবা কোনো দলবাজি করছি না। আমরা সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে চাই।’
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আজকে আমরা ফ্ল্যাট উদ্ধার করে দিচ্ছি, ভূমি উদ্ধার করে দিচ্ছি, কারখানা উদ্ধার করে দিচ্ছি। আমরা শুধু সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জনের জন্য কাজ করছি।’
এসপি হারুন বলেন, ‘আমার কয়েক গজ সামনেই রয়েছে বায়তুল আমান। অনেক কীর্তিমান পুরুষ এখান থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখান থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামসুজ্জোহা ও চুনকা সাহেবের মতো কীর্তিমান পুরুষেরা। এই নারায়ণগঞ্জে চাকরি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিভিন্ন সেক্টরের গতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কাজ করছি। নারায়ণগঞ্জে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সকলেই আমাদের ওপর নির্ভর করছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফুটপাত দখলমুক্ত করা ও ভূমিদস্যুসহ সকল অন্যায়কে রুখে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনও কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, সচেতন হতে হবে। অন্যান্য জেলার চেয়ে এই জেলার গুরুত্ব বেশি। এই নারায়ণগঞ্জে অনিয়ম মানুষ মেনে নেবে না। যেকোনো অবস্থায় যেকোনো জায়গায় চাঁদাবাজ প্রতিহত করতে হবে।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন ঐক্যবদ্ধ হলে সাত দিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জে পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা রোধ করা সম্ভব। আপনাদের কথা বলতে হবে। সবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।’
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের সিইও পরিচালক মো. শওকত জামাল।