বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, তাঁর স্ত্রী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্ত্রী, পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নাটোরে সর্বোচ্চ ৬২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। একই দিন কোভিড–১৯ রোগী বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
নাটোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার নাটোর থেকে ৩৬৩টি নমুনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তা ওই দিনই ফেরত পাঠানো হয়। পরে সেগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। গতকাল রাতে এসব নমুনার ফলাফল পাঠানো হয়। এতে ৬২ জনের করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন কর্মচারী ছাড়া বাকিরা সবাই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। ফলে কোন উপজেলায় কতজনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, তা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
তবে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম (৫৬) ও তাঁর স্ত্রী হামিদা ইসলাম (৫৪), বড়াইগ্রামের ইউএনও আনোয়ার পারভেজের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (২৫), সিনিয়র স্টাফ নার্স আফরোজা বুলবুল (২৮), সাংবাদিক জাহিদ হাসানসহ নয়জন এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার ১৮ জন পুলিশ সদস্যসহ ২৪ জন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান বলেন, সিভিল সার্জনসহ অন্যরা সবাই করোনায় আক্রান্ত। প্রতিদিন শত শত ফলাফল যাচাই–বাছাই করা তাঁর একার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আজ শনিবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৬। তবে অধিকাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আলীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তাঁকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল তাঁর অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। তাঁকে রাতে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।