নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) উদ্বেগ জানিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর নোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভায় এ উদ্বেগ জানানো হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনবিষয়ক প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে নোয়াবের সভায় এক প্রস্তাবে বলা হয়, অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন হয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। মাত্র তিন বছর হয়েছে। এর মধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা কতটুকু যৌক্তিক, তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। অতীতে কখনই পাঁচ বছরের আগে নতুন ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করা হয়নি। তা ছাড়া প্রতিবছরই মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করার জন্য বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। সে জন্য অন্তত পাঁচ বছরের আগে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন গ্রহণযোগ্য নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ছাড়া নোয়াবের অবস্থান হলো অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, সে বিষয়ে আগে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হোক। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো সপ্তম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদই বাস্তবায়ন করেনি বলে জানা যায়। অতীতের অভিজ্ঞতায় বলা যায়, সংবাদপত্রের কাঠামোগত ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। ইতিপূর্বে একাধিক ওয়েজ বোর্ড ঘোষণার সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ওয়েজ বোর্ড গঠনের আগে আলোচনার ভিত্তিতে সেসব অমীমাংসিত বিষয় সমাধান করা জরুরি। তা ছাড়া সংবাদপত্রশিল্প এক বড় সংকটে রয়েছে। অনলাইন প্রচারমাধ্যমে অনেক বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের ট্যাক্স, ভ্যাট ইত্যাদি সমস্যা তো রয়েছেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াব সব সময়েই আলোচনার মাধ্যমে গঠিত এবং পাঁচ বছরের বিরতিতে কার্যকর ওয়েজ বোর্ডের পক্ষে। বর্তমান সময়ে কোনো যুক্তিতেই সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজ বোর্ড গঠন সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মতিউর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ, নির্বাহী সদস্য তাসমিমা হোসেন, রিয়াজউদ্দীন আহমেদ, মাহ্ফুজ আনাম, এ এস এম শহীদুল্লাহ খান বাদল, তারিক সুজাত, এ এম এম বাহাউদ্দীন, আলতামাস কবীর, নঈম নিজাম, কাজী আনিস আহমেদ, দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, শামসুর রহমান, এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও মোজাম্মেল হক।
বৈঠকে নোয়াবের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান নোয়াবের বিগত এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন। যার মধ্যে ‘শিল্পনীতি ২০১৫’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন, বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর নেতাদের সঙ্গে নোয়াবের বৈঠক, অনলাইন সংবাদ পোর্টালের নিবন্ধন বিষয়ে নোয়াবের অবস্থান, দিনব্যাপী ভ্যাট-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন, তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।