নদীর ভাঙনের মুখে চরখালী ফেরিঘাট

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী ফেরিঘাট কচা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীর ভাঙনের জন্য গত ছয় মাসে ওই ফেরিঘাটে সাতবার গ্যাংওয়ে নতুন করে স্থাপন করতে হয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, চরখালী ফেরিঘাট দিয়ে খুলনা-বরিশাল, পিরোজপুর থেকে ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটাসহ ১২ রুটে বাস চলাচল করে। এ ছাড়া পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) মাছবাহী ট্রাক এবং খুলনা ও যশোর থেকে আসা সবজিবাহী ট্রাক এ ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়। কিন্তু ফেরিটি দেবে যাওয়ায় প্রতিদিন কয়েক শ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে গ্যাংওয়ে দিয়ে চলাচল করছে।

চরখালী ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রুস্তম মাঝি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে নদীভাঙন দেখা দেওয়ায় ফেরিঘাট এলাকায় চার থেকে পাঁচটি দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার দোকানটি বুধবার সরিয়ে নিয়েছি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, চরখালী ফেরিঘাট এলাকায় কচা নদীর ভাঙনে নদীর তীরে ফাটল দেখা দিয়েছে। গ্যাংওয়ের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় দুই থেকে তিন ফুট দেবে গেছে। নদীভাঙনের জন্য ফেরিঘাট এলাকার কয়েকটি দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

চরখালী ফেরিঘাটের ইজারাদারের ব্যবস্থাপক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙনের ফলে ফেরির গ্যাংওয়ে প্রতি মাসেই নতুন করে স্থাপন করতে হয়। কয়েক দিন আগে একবার গ্যাংওয়ে স্থাপন করেছি। এখন আবার গ্যাংওয়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা দরকার।’

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরিঘাট এলাকায় অনেক জায়গা নিয়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। জরুরি ভিত্তিতে নদীভাঙন রোধ করা গেলে ঘাটটি রক্ষা করা সম্ভব হবে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ বলেন, কচা নদীর ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পে চরখালী ফেরিঘাট এলাকা রয়েছে। শীত মৌসুমে কাজটি শেষ হলে ঘাটটি নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।