নতুন দিনের তারকা

২০২০ সালে করোনার প্রকোপে যখন ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো, সেই সময়ে বাংলাদেশে ‘ইউনিসেফ সুপারস্টার’ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখা এবং তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়াই ছিল এই প্রচারণা বা ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। ক্যাম্পেইনে এক হাজারের বেশি শিশু অংশ নেয়। ছবি, গান ও কবিতার মাধ্যমে তারা নিজেদের আশা-প্রত্যাশা ফুটিয়ে তোলে, যা পরে ইউনিসেফ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে স্থান পায়। খুদে শিল্পীদের আঁকা কিছু নির্বাচিত ছবি তুলে ধরা হলো এখানে।

সাত বছর বয়সী আরীব জুহাইর হোসেন করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে বাসায় থাকার পাশাপাশি নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মগুলো মেনে চলে। সে বিশ্বাস করে, করোনাকে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সব সময় সতর্ক থেকে এই নিয়মগুলো মেনে চলা
সাত বছর বয়সী আরীব জুহাইর হোসেন করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে বাসায় থাকার পাশাপাশি নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মগুলো মেনে চলে। সে বিশ্বাস করে, করোনাকে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সব সময় সতর্ক থেকে এই নিয়মগুলো মেনে চলা
আট বছর বয়সী অরুন্ধতী তরফদার তার আঁকা এই ছবির মাধ্যমে সব আইনশৃঙ্খলা কর্মী ও স্বাস্থ্যযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে, যাঁরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাভাইরাস থেকে সবাইকে নিরাপদ রাখতে লড়াই করে যাচ্ছেন
ফারযাদ ফিরোজের বয়স সাত বছর। সে জানে, নিজেদের স্বাস্থ্য রক্ষায় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা কতটা দরকার। করোনাভাইরাসের এই বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। তাই সে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে অনুরোধ জানায়
আট বছর বয়সী খাদিজাতুল কোবরা ভালোবাসে ছবি আঁকতে। তাই ছবি এঁকেই সে সেসব স্বাস্থ্যকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চায়, যাঁরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অবিরাম লড়াই করে যাচ্ছেন
করোনাভাইরাসের প্রকোপে আমাদের জীবনে আসা পরিবর্তনগুলো রং-পেনসিল হাতে ফুটিয়ে তুলেছে পাঁচ বছর বয়সী নায়া আহমেদ। নায়া বিশ্বাস করে, আমরা সবাই নিয়ম মেনে চললে খুব শিগগির পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে উঠবে
আট বছর বয়সী কারিব যাওয়াদ তার আঁকা এই ছবির মাধ্যমে সবাইকে মনে করিয়ে দেয়—করোনাভাইরাসের কারণে আমরা বাসায় থাকলেও পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকেই পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।
যমজ ভাই তাসিন হাসান ও তানযিম হাসান ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে চায়। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ওরা নিজেরা নিয়ম মেনে চলছে এবং অন্যদেরও সতর্ক করছে
ছয় বছর বয়সী জয়নব বিনতে আকরাম বিশ্বাস করে, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে, মাস্ক পরে এবং বাসায় থাকার মাধ্যমে পৃথিবীকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত করা সম্ভব। আমরা প্রত্যেকে যখন নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করব, কেবল তখনই এ মহামারি মোকাবিলায় সফল হব