নগরে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে মশা নিধনে নতুন ওষুধের মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা চালিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)। গতকাল শুক্রবার সকালে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে তিনটি খাঁচার প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে পরীক্ষা চালানো হয়।
ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান, আধা ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে খাঁচাগুলোয় যথাক্রমে ২২, ২৬ ও ১৮ শতাংশ মশা মারা গেছে।
কর্মকর্তারা বলেন, নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মশারি দিয়ে তিনটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি খাঁচায় ৫০টি করে মশা রাখা হয়েছে। খাঁচা থেকে তিন ফুট দূরত্ব থেকে ফগার মেশিন কাঁধে নিয়ে সিটি করপোরেশনের একজন মশকনিধনকর্মী খাঁচার দিকে ওষুধ ছিটান। এ সময় পাশে থাকা প্রত্যেককে মুখোশ ব্যবহার করতে দেখা যায়।
সিটি করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধে মশা মরে না। এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মধ্যে নতুন এই ওষুধের পরীক্ষা চালানো হলো। ডিএসসিসি সূত্র বলছে, এই ওষুধ বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এই মশার ওষুধের ৩০ মিনিট পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ মশা মারা গেছে। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা শেষে মাঠপর্যায়ে ওষুধের গুণগত মানের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।
এ সময় ভারতের কলকাতা থেকে আসা গবেষক দলের সদস্য শুভ দে সাংবাদিকদের বলেন, মশার ওষুধ বৃষ্টির মধ্যে ছিটানো যাবে না। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার বেগে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখনো মশার ওষুধ ছিটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, বায়ার করপোরেশনের ওষুধ মশকনিধনে কার্যকর। মশার ওষুধে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখত হবে।
মশার ওষুধ পরীক্ষার সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শরীফ আহমেদ প্রমুখ সেখানে ছিলেন।
বায়ার করপোরেশন নামের কোম্পানিটি কোন দেশের এবং কোথা থেকে এই ওষুধ আনা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান ও ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।