রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকটে পাঠদান কার্যক্রম ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়েছে। বিদ্যালয়টিতে আছেন মাত্র একজন শিক্ষক। এদিকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলে আসায় সে চাপ সামাল দিতে ধার করে আনতে হয়েছে একজন শিক্ষক।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, এখানে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তিনজন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। চলতি মাসের শুরুর দিকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যান আরও একজন শিক্ষক। ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়ে যান মাত্র একজন শিক্ষক। এ অবস্থায় দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলে এলে পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্য এক বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষক ধার করে আনা হয়।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, দুটি কক্ষে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছে। একটি কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষক জেসমিন বেগম। অন্য একটি কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন তিন কিলোমিটার দূরের জেনেটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ধার করে আনা সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেন। তিনি (আমজাদ হোসেন) বলেন, ‘উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক আদেশে এই বিদ্যালয়ের পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করতে এসেছি।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘এখানে চাকরি করতে এসে কিছুদিনের মধ্যে তিনজন শিক্ষকই অন্যত্র বদলি হওয়ায় বিরাট সমস্যা হয়েছে। আমরাও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছি না।’
একমাত্র শিক্ষক জেসমিন বেগম বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একাই দুই শিফটে ক্লাস নিতে হয়।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘বদলি হওয়া শিক্ষকেরা ওপর মহল থেকে তদবির করিয়ে আনেন। এখানে আমিই বা কী করতে পারি।’