ঢাকার ধামরাইয়ে প্রথম দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানা যায়। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ধামরাইয়ের দুটি এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ২০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী এবং অপরজন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী। একজন ধামরাইয়ের গোয়ারিয়াপাড়ার বাসিন্দা আর অন্যজনের বাড়ি হাজিপুর গ্রামে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল হক বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এদিন রাতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে পরের দিন তিনি নিজেই পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। কিন্তু সাত ঘণ্টা চেষ্টা করেও নমুনা দিতে ব্যর্থ হয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। ১৩ এপ্রিল ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার সকালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁর শরীরে করোনার অস্তিত্ব রয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত এই কর্মচারী প্রথম আলোকে বলেন, ১১ এপ্রিল রাতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেন। তবে পরের দিন তাঁর জ্বর ছেড়ে যায়। এরপর আর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হননি। গলাব্যথা, শরীরব্যথা, সর্দি, কাশিসহ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনো লক্ষণও তাঁর নেই। তিনি সুস্থ বোধ করছেন। তবে পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা চিন্তা করে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর রিফাত আরা বলেন, তাঁর হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত দুজনের সংস্পর্শে গিয়েছেন এমন ২০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও জানান, করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ধামরাইয়ের গোয়ারিয়াপাড়া ও হাজিপুর গ্রাম লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।