নওগাঁ-১ আসন

ধানের শীষের প্রার্থী কে ধোঁয়াশা কাটছেই না

মোস্তাফিজুর রহমান ও ছালেক চৌধুরী
মোস্তাফিজুর রহমান ও ছালেক চৌধুরী

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে জটিলতা ও নাটকীয়তা শেষই হচ্ছে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। অথচ এখনো এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কে, তা নিয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, এ আসন থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সাংসদ ছালেক চৌধুরী ও পোরশা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাকে। ৭ ডিসেম্বর মোস্তাফিজুর রহমানকে নওগাঁ-১ আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণার এক দিন পর দল থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন ছালেক চৌধুরী। ১০ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁকে ধানের শীষের প্রতীক বরাদ্দ দেন। কিন্তু এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই আসনে ছালেক চৌধুরীর পরিবর্তে মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন।

>জেলা বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুরকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। পরে রিটে সাবেক সাংসদ ছালেক চৌধুরীকে ধানের শীষ বরাদ্দের আদেশ দেওয়া হয়।

১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন ছালেক চৌধুরী ও তাঁর কর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু প্রচারণা শুরুর ১০ দিন পর হাইকোর্টের আদেশে মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষের প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ধানের শীষের আসল প্রার্থী কে, তা নিয়ে এলাকায় এখন আলোচনার ঝড় বইছে। হাইকোর্টের আদেশের পর বিএনপির প্রচার ও প্রচারণাও ঝিমিয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি হাইকোর্টে কোনো রিট করিনি। কার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। নির্বাচনের যে পরিবেশ, তাতে এই মুহূর্তে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। তবে নির্বাচন কমিশন আমাকে ধানের শীষ প্রতীক ফিরিয়ে দিলে এবং দল যদি নির্বাচন করতে বলে, সে ক্ষেত্রে আমি নির্বাচনে থাকতে চাই।’

এ বিষয়ে ছালেক চৌধুরী বলেন, ‘দল আমাকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে আদালত একটা আদেশ দিলেও এতে কোনো সমস্যা হবে না। কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে যথাযথ জবাব দেবেন।’