ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবী প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
আজ বুধবার বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কেশব রায় চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন বিচার–প্রক্রিয়ায় সব ধরনের সহায়তার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্য মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবুর নেতৃত্বে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আইন সমিতি চলমান মামলার পুরো প্রক্রিয়া দেখভাল করবে।
এ ঘটনায় মজনু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দ্রুত সময়ে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমিতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত রোববার রাতে কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন। তিনি বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামেন তিনি। পরে অন্য যানবাহনের জন্য ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ তাঁকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে ফুটপাতের পাশের ঝোপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ধর্ষণের শিকার হন।
ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকালই আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।
মামলার এজাহার গতকাল ঢাকার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গতকাল নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।