পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা সবার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়েছে এবং ১০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে। এ কারণে অনেক দিক থেকে এই প্রকল্প ইউনিক (স্বতন্ত্র)। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারির পর নিজে উপস্থিত থেকে সোমবার প্রকল্পটি চালু করবেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে এত বৃহৎ এবং সর্বাধুনিক প্রকল্প গত ৫০ বছরেও হয়নি। এটি এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় এবং সারা বিশ্বের ১১তম বিদ্যুৎকেন্দ্র।বিদ্যুৎকেন্দ্রে আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বলা হচ্ছিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে দেশের সব মানুষ মারা যাবে, এ অঞ্চল ধূলিসাৎ হয়ে যাবে, মরুভূমি হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী এসে বাংলাদেশে যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, প্রতিটি ঘর যে আলোকিত হয়েছে, সেটির ঘোষণা দেবেন আগামীকাল।