দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৯ হাজার ৮৯২ জন। গতকাল রোববার সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে এই তথ্য জানান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন।
সাংসদ মুহিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী অক্ষম ও অসচ্ছল বয়স্ক হিজড়াদের মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া হিজড়াদের জীবনমানের উন্নয়নে প্রাথমিক স্তরে ৩০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৪৫০, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৬০০ এবং উচ্চস্তরে এক হাজার টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
প্রশ্নোত্তরের আগে বেলা তিনটার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সেলিনা বেগম জানতে চান, ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত বাড়ি সাংসদদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে কি না? জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরে পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যা ৬ হাজার ৪০৬টি। এসব বাড়ি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই।
আনোয়ারুল আবেদীন খানের এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ৫০৩ একর জমি বেদখল অবস্থায় আছে। আদালতে মামলা থাকায় এসব জমি উদ্ধারে অভিযান চালানো যাচ্ছে না।
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, রাজউক ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১টি ভবন চিহ্নিত করেছে। এর তালিকা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়েছে।
আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বর্তমানে দেশে জরাজীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৬০টি।
হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি টাকা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত এবতেদায়ী, দাখিল ও আলিম স্তরের মাদ্রাসার সংখ্যা ১৬ হাজার ২৮২টি। এর মধ্যে তিনটি সরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে মাদ্রাসা খাতে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৭৯ লাখ বরাদ্দ করা হয়েছে।
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে সংসদকাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স ১৯৮৬ অনুযায়ী সাংসদদের অবস্থানক্রম ১৩। ১৯৭২ সালের প্রিসিডেন্সে সাংসদদের অবস্থান ছিল ১৮তম।