প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত রামনাবাদ নদের পাশে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সশরীর পরিবেশবান্ধব আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিসহ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ মুজিব বর্ষে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে আরেকটি মাইলফলক অর্জন করল।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১ হাজার একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে।
প্ল্যান্টটি বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল), চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) একটি যৌথ উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী আজ ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন করেন। শান্তির প্রতীক ১ হাজার ৩২০টি পায়রা ওড়ান। প্ল্যান্টের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম ঘুরে দেখেন।
এর আগে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী কয়লা জেটিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রঙে সজ্জিত ২০০ জেলে নৌকা থেকে পতাকা উড়িয়ে ও গান বাজিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘মেমেন্টো’ উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতির পাশাপাশি পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিডিও উপস্থাপনা প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পর্যটন স্পট কুয়াকাটা থেকে পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও তার আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।