করোনাকালে ছুটি কাটাতে দেশে গিয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে ১৬১ জন বাহরাইন ফিরতে পারবেন। বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা ২০২১ সালের নভেম্বরে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং যাঁদের মালিক তাঁদের কর্মীদের আনতে আগ্রহী, শুধু এমন ১৬১ কর্মী আবার এ দেশে আসতে পারবেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত এই ১৬১ প্রবাসী কর্মীকে প্রথমে ভ্রমণ ভিসায় বাহরাইনে আসতে হবে। তবে এই ভ্রমণ ভিসার জন্য সংশ্লিষ্ট মালিককে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর স্পনসর/মালিক বাহরাইন সরকার থেকে পাওয়া ই-ভিসার রেফারেন্স নম্বর বাংলাদেশি দূতাবাসকে ই–মেইল (mission.manama@mofa.gov.bd) অথবা হোয়াটসঅ্যাপে (+১৭৩-৩৩৩৭৫১৫৫) জানাতে হবে। এরপর দূতাবাস ওই কর্মীকে ভ্রমণ ভিসা দিতে বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে। বাহরাইনে আসার পর স্পনসর/মালিক ওই কর্মীদের ভ্রমণ ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর করে এ দেশে কাজ করতে পারবেন।
দূতাবাস জানিয়েছে, ওই তালিকাভুক্ত সব কর্মীর সঙ্গে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে যোগাযোগ করা হবে। এ জন্য কোনো দালালের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে দূতাবাস তালিকাভুক্ত কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছে।
করোনাকালে বাংলাদেশে ছুটিতে গিয়ে আটকা পড়েন ৯ শতাধিক বাহরাইনপ্রবাসী। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ কমে যাওয়ায় কোনো কোনো কোম্পানি অনেক কর্মী ছাঁটাই করে। আবার করোনার সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশ থেকে বাহরাইনের ভিসা বন্ধ থাকায়ও অনেকে যেতে পারেননি। ফলে এসব কর্মীর জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ দেয় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। কোনো কোনো মালিকপক্ষ গত বছরের নভেম্বরে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্মীদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়। এসব কারণে আটকে পড়া সব কর্মী বাহরাইনে ফিরতে পারছেন না। মাত্র ১৬১ প্রবাসী কর্মী ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইনের রাজা, ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষসহ (এলএমআরএ) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও বৈঠক করে।