মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাতে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছেন দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ও পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস।
মিকস বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুতে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যাক্ট অনুসারে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের বিষয়ে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আমি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই মিকসের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
এর আগে র্যাবের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে জানানো হয়, তিনি (মিকস) বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি সংস্থার কতিপয় ব্যক্তির ওপর আরোপ করা হয়েছে, পুরো সংস্থার ওপর নয়, আমরা সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।’ নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় তহবিল সংগ্রহের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অংশ নেন মিকস। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন বলে বাসসের ওই খবরে জানানো হয়। ওই অনুষ্ঠানে আরও কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জোরালোভাবে লবিং চলছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিকস বলেন, ‘তবে, আমরা তাঁদের কথা অনুযায়ী কিছু করব না। আর এমনটা সম্ভবও নয়। আমরা সবকিছু ভালোভাবে যাচাই করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে মিকস আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে। এ ছাড়া আমি এটাও বিশ্বাস করি, এটি পুরো দেশের বিরুদ্ধে নয়।’
মিকস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আমি সহযোগিতা করে যাব।’ বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তা নিশ্চিত করতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির এই চেয়ারম্যান।
ডেমোক্রেটিক পার্টির এই নেতা ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্ক থেকে প্রথম প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সাল থেকে হাউস অব কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হওয়ার আগে ১৯৯২ সালে তিনি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।