গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দুর্নীতি করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মীয় বা দলের প্রভাবশালী নেতা—কাউকে ছাড় দেন না। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান উপজেলা পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুরে ‘জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইমাম ও আলেম সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ইমাম সমিতি এ সভার আয়োজন করে। সভাটি হয় জেলার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ইসলামের দাওয়াত এমনভাবে দিতে হবে যেন সেই দাওয়াতে যুবসমাজ জঙ্গি বা সন্ত্রাসী না হয়। সব ধর্মের জন্য বর্তমান সরকার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। সবার শেষ গন্তব্য একই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। আমরা সবাই এই বাংলাদেশের নাগরিক। তাই এ দেশের অন্য ধর্মাবলম্বীদের জানমালের হেফাজত করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।’
পূর্তমন্ত্রী বলেন, পুড়িয়ে মানুষ মারা, বোমা মেরে হত্যা করা ইসলাম ধর্মের কোথাও নেই। জঙ্গিরা কোরআন-হাদিস অনুসরণ না করে নিজেদের ভিন্নমতকে ইসলামের মতবাদ বানিয়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসাশিক্ষাকে একীভূত করেছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বরিশাল রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গি নির্মূলে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার ইমামদের উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত করছে।
পিরোজপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ কে এম সাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মো. ফারুক আবদুল্লাহ, হাফেজ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জেলা জজশিপের আয়োজনে আদালত প্রাঙ্গণে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সিরিজ বোমা হামলায় নিহত ঝালকাঠির দুই বিচারকের স্মরণসভায় অংশ নেন।