সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ হাতিয়ার মুদিদোকানি পবন মজুমদার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। ৩০ জুন চিকিৎসকেরা তাঁর ডান পা হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলেছেন। পা হারিয়ে পবন এখন প্রতিবন্ধী।
পবনকে দেখাশোনার জন্য সঙ্গে আছেন ছোট ভাই মাধব মজুমদার। গত সোমবার মাধব প্রথম আলোকে বলেন, ৯ জুন সকাল ১০টার দিকে পবন মোটরসাইকেলে বাজারে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন তিনি। ডান পায়ের দুটি আঙুলসহ পায়ের হাড় ভেঙে যায়, হাঁটুর বাটি বেরিয়ে আসে। আহত পবনকে প্রথমে হাতিয়া উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়, তারপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও শেষে পঙ্গু হাসপাতালে আনা হয়।
ভাইয়ের দুর্ঘটনার কথা বলতে বলতে মাধব মজুমদার জানান, কয়েক বছর আগে নারকেলগাছ থেকে পড়ে মাধব নিজে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। তাঁর বাঁ হাতের হাড় ভেঙে যায়। বাঁ হাত দেখিয়ে বলেন, অনেক খরচ হলেও হাত সোজা হয়নি।
কথায় কথায় মাধব তাঁর অন্য দুই ভাইয়ের দুর্ঘটনার কাহিনিও শোনালেন। ২০০০ সালে ধানমাড়াইয়ের যন্ত্রের আঘাত লাগে সেজ ভাই যাদব মজুমদারের ডান চোখে। সেই চোখ আর ভালো হয়নি, ডান চোখ দৃষ্টিহীন। আর মেজ ভাই লক্ষ্মণ মজুমদার ২০০৭ সালে আত্মহত্যা করেন।
দক্ষিণ হাতিয়ার এই পরিবার যেন বাংলাদেশের দুর্ঘটনা পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করছে। দুর্ঘটনা বিষয়ে ২০১৬ সালের সর্বশেষ জাতীয় জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুর্ঘটনা ও আঘাতের কারণে দেশে প্রতি ঘণ্টায় ১২ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর প্রতি ঘণ্টায় আহত হচ্ছে ২ হাজার ২৮৭ জন। মারাত্মক আহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে ২৮ জন।
‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা জরিপ ২০১৬’ শিরোনামের এই জরিপ করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। জরিপের একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশ করলেও মূল প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। সম্প্রতি মূল প্রতিবেদনের একটি কপি প্রথম আলো পেয়েছে।
জরিপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সিআইপিআরবির ডাটা ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান ড. মো. আবু তালেব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনা, আঘাত বা জখম বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে এর প্রভাব অনেক গভীরে। শুধু সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা ও পানিতে ডোবার ঘটনার অতি ক্ষুদ্র অংশ সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। বাস্তব ঘটনা অনেক বড় ও পরিস্থিতি ভয়াবহ।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৩টি বিষয়কে দুর্ঘটনা, আঘাত বা জখমের মধ্যে ফেলেছে। এগুলো হচ্ছে আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া, ধারালো বস্তু দ্বারা কেটে যাওয়া, পড়ন্ত বস্তুর আঘাত, পুড়ে যাওয়া, প্রাণী ও কীটপতঙ্গের কামড় ও আঘাত, সহিংসতা, পানিতে ডোবা, মেশিন বা যন্ত্রপাতির আঘাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, দুর্ঘটনাজনিত শ্বাসরোধ ও দুর্ঘটনাজনিত বিষপান। জরিপে এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জরিপের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে ১৬টি জেলা বেছে নেওয়া হয়েছিল। এসব জেলার শহর ও গ্রামের ৭০ হাজার পরিবারের ২ লাখ ৯৯ হাজার ২১৬ জন সদস্যের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুনের মধ্যে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
জরিপের ফল বলছে, বছরে নানা দুর্ঘটনায় মারা যায় ১ লাখ ৮ হাজের হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু ৪৫ হাজার। সব বয়সীদের মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর প্রধান চারটি কারণ—আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডোবা ও পড়ে যাওয়া। আত্মহত্যা নারীদের মধ্যে বেশি। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় বছরে ২ কোটির বেশি মানুষ আহত হয়, এদের মধ্যে ২ লাখ ৪২ হাজার স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরে নিয়ে দুর্ঘটনার অনুমিত হিসাব দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা জানিয়েছেন।
মৃত্যুর মিছিল
জরিপ বলছে, বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও আঘাতে বছরে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ দিনে ২৯৮ জনের বা ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হচ্ছে। বৃদ্ধদের বেশি মৃত্যু হয় পড়ে গিয়ে।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ১৮ বছরের কম বয়সী সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি শিশু প্রতিবছর মারা যায়, অর্থাৎ দিনে মারা যায় ১২৫ জন। এই বয়সীদের ৩৭ শতাংশ পানিতে ডুবে মারা যায়। এই বয়সীদের মৃত্যুর অন্য প্রধান কারণগুলোর মধ্যে আছে আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট।
দুর্ঘটনা বা আঘাতের কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়, আত্মহত্যা করে ও পড়ে গিয়ে। এই তিন কারণে প্রতিদিন ১৭০ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
একই ধরনের জরিপ হয়েছিল ২০০৩ সালে। দুটো জরিপের ১৮ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর তথ্য পাশাপাশি রেখে দেখা গেছে, পানিতে ডুবে ও প্রাণীর কামড়—এই দুটি ছাড়া অন্য সব কারণে মৃত্যু বেড়েছে। ২০০৩ সালে দৈনিক ৮৩ জনের মৃত্যু হতো। এখন হচ্ছে ১২৫ জনের।
এই বয়সীদের আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, পড়ে যাওয়াসহ অন্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই মৃত্যু আগের চেয়ে বেড়েছে।
আহতের তথ্য থাকে আড়ালে
২০০৫ সাল থেকে দুর্ঘটনা ও জখম নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছেন সিআইপিআরবির ড. মো. আবু তালেব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায় দেশের কোথাও না কোথাও মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ছে। কোথাও নিজের ভুলে, কোথাও অন্যের দোষে। এসব ঘটনার খুব সামান্য অংশ জানা যায়।’
যেসব দুর্ঘটনা বা আঘাতের কারণে ব্যক্তিকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল বা কাজে বা স্কুল যেতে পারেনি বা স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে বিরত ছিল, সেগুলোই জরিপের হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে, বছরে ২ কোটি ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার ২৮৭ জন মানুষ রাস্তাঘাটে, মাঠে-ময়দানে, বাড়িতে, কর্মস্থলে আহত হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি মানুষ আহত হয় পড়ে গিয়ে। মানুষ গাছ বা উঁচু ভবন থেকে পড়ে, রাস্তায় বা সিঁড়িতে পা পিছলে পড়ে, বাস, ট্রেন ও রিকশায় ওঠা-নামার সময় পড়ে। পড়ে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে হয় বা দৈনন্দিন কাজ করা বন্ধ থাকে। প্রতিদিন দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ এভাবে আহত হয়।
>দুর্ঘটনা বিষয়ে ২০১৬ সালের সর্বশেষ জাতীয় জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ
দুর্ঘটনা–আঘাতে দেশে প্রতি ঘণ্টায় ১২ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে
আর প্রতি ঘণ্টায় আহত হচ্ছে ২ হাজার ২৮৭ জন
মারাত্মক আহতদের মধ্যে ঘণ্টায় প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে ২৮ জন
এ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বড় কোনো আলোচনা হতে দেখা যায় না। সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে। তবে সড়ক দুর্ঘটনার সব খবর দেশবাসী জানতে পারে না বা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় না। সাধারণত একসঙ্গে বেশি মানুষ মারা গেলে, একই পরিবারের সদস্যরা মারা গেলে, শিশু মারা গেলে বা ছাত্র মারা গেলে তা প্রকাশ হয়। তখনই মানুষ জানতে পারে। কিন্তু কত বিপুলসংখ্যক মানুষ আহত হয়, সেই তথ্য প্রায় অজানা। সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ৩৪ লাখের বেশি মানুষ আহত হয়। দিনে আহত হয় ৯ হাজারের বেশি।
তবে সড়ক দুর্ঘটনার চেয়ে বেশি মানুষ আহত হয় কেটে গিয়ে। দা, কাঁচি, বঁটি, কোদাল, শাবল, ব্লেড বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্রে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ আহত হয়। অর্থাৎ বছরে ৪৫ লাখের বেশি মানুষ আহত হয়।
বিপুলসংখ্যক মানুষ আহত হলেও তাদের ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ দুর্ঘটনা থাকে মাঝারি ধরনের। এরা হয়তো চিকিৎসা নেয়, তবে হাসপাতালে ভর্তি হয় না। অথবা এরা কাজে বা স্কুল এক দিন অনুপস্থিত থাকে। দুর্ঘটনা বা আঘাত গুরুতর হয় ৫ দশমিক ৪ শতাংশের। এরা ১০ দিনের কম হাসপাতালে থাকে এবং এদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। ১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়। এদের ১০ দিন বা তার বেশি হাসপাতালে থাকতে হয় এবং বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। বাকি ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের আঘাত এতটাই তীব্র থাকে যে এদের অনেকেই চিরদিনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে।
প্রতিদিন ৬৬১ জন প্রতিবন্ধী
দুর্ঘটনা বা আঘাতের কারণে বছরে ২ লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিবন্ধী হচ্ছে। অর্থাৎ দিনে প্রতিবন্ধী হচ্ছে ৬৬১ জন।
সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রতিবন্ধী হয় ওপর থেকে পড়ে গিয়ে। প্রায় চার দশক ধরে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসেবা দিচ্ছে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)। সিআরপির নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত মেরুদণ্ড ভেঙে বা ঘাড়ে তীব্র আঘাত পাওয়ার পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েই রোগীরা এখানে আসে। আমাদের হিসাবে ৪০ শতাংশ রোগী আসে উঁচু স্থান থেকে পড়ার পর। উঁচু স্থান অর্থ উঁচু গাছ, ভবন, সেতু এসব। জ্যৈষ্ঠ মাসে অনেক রোগী আসে আম, লিচু ও কাঁঠালগাছ থেকে পড়ে।
পড়ে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রতিবন্ধী হয়। বছরে প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ এ কারণে প্রতিবন্ধী হয়। এরপর সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রতিবন্ধী হয় সড়ক দুর্ঘটনায়, প্রতিবছর ৮০ হাজারের বেশি।
পরিণতি ও করণীয়
২৬ মে সরকারের পরিকল্পনা বিভাগে দুর্ঘটনা ও আঘাত বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ড. মো. আবু তালেব বলেন, ‘পরিবার, নিকট আত্মীয় ও সমাজের ওপর দুর্ঘটনা গভীর প্রভাব ফেলে। অধিকাংশ বাবা-মা বা অভিভাবক দুর্ঘটনার কারণে সন্তানের পড়ালেখার ক্ষতির কথাই বেশি বলেন।’ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মারা গেলে পরিবারটি পথে বসে। ছেলে বা মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন যে দেখত, অচিরেই সে শিশুশ্রমে যুক্ত হয়।
ওই গবেষণা প্রবন্ধের তথ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জরিপের তথ্যে অনেক মিল আছে। দুর্ঘটনার প্রভাব ও পরিণতিবিষয়ক ওই গবেষণায় অর্থায়ন করেছিল সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ। পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ড. উত্তম কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাজনিত সমস্যা এত বড়, এত গভীর তা জানা ছিল না। এই গবেষণা ফলাফল আমরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এ ছাড়া জাতীয় নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসব তথ্য ব্যবহার করা হবে।’
জরিপ প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাকে স্বাস্থ্য খাতের অগ্রাধিকার বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং জাতীয় দুর্ঘটনা কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সফল কোনো উদ্যোগ থাকলে দেশব্যাপী তার বিস্তার ঘটানোরও সুপারিশ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও সিআইপিআরবি যৌথভাবে পানিতে ডোবা প্রতিরোধে ‘আঁচল’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ২০০৬ সাল থেকে। সাতটি জেলার ১০টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিআইপিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কর্ম এলাকায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ৫০ শতাংশের বেশি কমেছে। লাগসই উদ্যোগ নিলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।’