বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে গণপরিবহনের শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করেছে বাসমালিক ও পরিবহনশ্রমিক সংগঠনগুলো।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর শ্রমিক সমিতির সভাপতি আবদুস ছালাম বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে আজ সন্ধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে চলমান ধর্মঘট তুলে নেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এর পরপরই বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ্ আবিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মানুষকে জিম্মি করে কোনো কিছু করা যায় না, বিষয়টা পরিবহনেরশ্রমিকদের বুঝতে হবে। এ জন্য তিনি আন্তরিকভাবে পরিবহন–সংশ্লিষ্ট নেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরে পরিবহনশ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিআরটিসি বাস বন্ধ না হওয়ায় পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছিলেন ময়মনসিংহের পরিবহনশ্রমিকের নেতারা। পরে পুলিশ প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনস্বার্থে তাঁরা এই আন্দোলন স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন মোটর মালিক সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা।
গত দুদিন ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোর উদ্দেশে কোনো বাস চলাচল করেনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরিবহনশ্রমিকদের অভিযোগ, ময়মনসিংহ থেকে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোয় নিয়ম না মেনে চলাচল করা বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবি করায় গতকাল সোমবার তিনজন পরিবহনশ্রমিককে মারধর করেন বিআরটিসি বাসের শ্রমিকেরা। এরপর শুরু হয় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাসহ পাশের জেলাগুলোয় পরিবহন ধর্মঘট।
সর্বশেষ গত রোববার ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা সড়কে আরও ১০ টি বিআরটিসি বাস চালু হয়েছে। ওই দিন নেত্রকোনার-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চালু হওয়ার পর পরিবহনশ্রমিকেরা বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দেন। শ্রমিকদের দাবি, বিআরটিসি বাস নিয়ম না মেনে চলছে। এতে গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। পাশাপাশি বিআরটিসি বাস যত্রতত্র পার্কিং করায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়কের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে।