দুর্নীতির মামলায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ ও বিসিবির পরিচালক লোকমান ভূঁইয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।
এর আগে মোহামেডানের লোকমানকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে দুদক। অপরদিকে লোকমানের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে লোকমানকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
গত ২৭ অক্টোবর (লোকমানের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৩৪ লাখ আর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা লোকমান ও সেলিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা) করে দুদক। লোকমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
লোকমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোহামেডান ক্লাবের ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের মাধ্যমে ২১ লাখ টাকা আদায় করতেন। এ ছাড়া তাঁর আয়কর নথিতে সম্পদের বিবরণের সঙ্গে অনুসন্ধানে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই সম্পদের বৈধ উৎস না পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মণিপুরিপাড়ার বাসা থেকে লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ । এ সময় তাঁর বাসা থেকে চার বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় পুলিশের পরিদর্শক জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। এরপর কয়েক দফা লোকমানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ক্যাসিনো থেকে মাসে লোকমানের ২১ লাখ টাকা নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে দুদক
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা, পরে বিসিবিপ্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
লোকমান পদে থাকায় প্রশ্নের মুখে বিসিবি
লোকমান ভূঁইয়া যেভাবে ক্রিকেটে এলেন