দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিয়মিত মাসিক ব্রিফিংয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় সব প্রশ্নই ছিল বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি নিয়ে। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত না করা, এ বিষয়ে হাইকোর্টের রুল, জাতীয় সংসদে আলোচনার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ও গবেষণা) মো. শামসুল আরেফিন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় সংস্থার পরিচালক নূর আহাম্মদ ও বেলাল হোসেন এবং উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রশ্নের জবাবে দুদকের কর্মকর্তারা বলেন, বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ৫৬টি মামলার তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বা দালিলিকভাবে অপরাধ প্রমাণ হলে তাঁদেরও আসামি করা হবে। বিষয়টি যেহেতু এখনো তদন্তাধীন রয়েছে, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
আবদুল হাই বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেন। এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার পর সংস্থার আইন শাখার কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, সম্পদ বিবরণী নোটিশের জবাব পাওয়ার পর সেটা পর্যালোচনা করে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনকে জেলকোড অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুরে কারাগার-২-এ ওই নোটিশ পাঠায় দুদক। নূর হোসেনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে তাঁর স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়েও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সাত কর্মদিবসের মধ্যে দুদকের কাছে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।