দুই মাথা ও তিন পা নিয়ে জন্মানো শিশুকে বাঁচানো গেল না

পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ভূমিষ্ঠ হতে যাওয়া সন্তান স্বাভাবিক নয়। তারপরও আশায় বুক বেঁধেছেলিনে জলিল-শারমিন দম্পতি। তবে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না দুই মাথা, তিন পাওয়ালা নবজাতকটি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই শিশুটি মারা যায়।

ওই নবজাতকের বাবা আবদুল জলিল আক্ষেপ করে বলেন, আল্লাহ যেমন সন্তান দিয়েছিলেন, বাঁচিয়ে রাখলে যত্ন সহকারে লালন-পালন করতাম। কিন্তু আল্লাহ নিয়ে গেলেন। গতকাল রাতে বরিশাল নগরীর মুসলিম কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে এই শিশুর। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের আ. জলিলের স্ত্রী শারমিন (৩৫) গর্ভধারণের পাঁচ মাস পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন, অনাগত সন্তানের দুটি মাথা ও দুয়ের অধিক পা রয়েছে। তবে এর আগে পিরোজপুরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরীক্ষার পর চিকিৎসক যমজ সন্তানের কথা বলছিলেন।
তবে পূর্ণাঙ্গ সময়সীমা পার হলে গতকাল বিকেলে বরিশাল নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গাইনি চিকিৎসক তানিয়া আফরোজের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার করে দুই মাথা, তিন পা ও দুই হাতবিশিষ্ট ওই নবজাতকের জন্ম হয়।

প্রসবের পর নড়াচড়া না থাকলেও মল ত্যাগ করে শিশুটি। এরপর সেখানকার চিকিৎসকেরা শিশুটিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, রাত ৯টার দিকে সদ্যোজাত শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। তবে তার মা সুস্থ আছেন।