দুই বছরেও বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরেনি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চাপোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে প্রায় দুই বছর আগে আবেদন করেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা। তবে খুঁটি সরানোর আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, মাঝেমধ্যেই খুঁটির ট্রান্সফরমার থেকে আগুন বের হয়। এতে আতঙ্কের মধ্যে থাকে শিক্ষার্থীরা। উপকারভোগীদের জমি ব্যবহার না করে বিদ্যালয়ের মাঠের মাঝখানে খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকা ভবন তৈরিতে বিদ্যুতের তার সমস্যা সৃষ্টি করবে।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয় ২০০১ সালে। ২০১৩ সালে এটি জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে চারজন শিক্ষক ও ১৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। টিনের চালার চারটি কক্ষে ক্লাস হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পাশে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ। সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে শ্রেণিকক্ষের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। মাঠের মাঝখানে খুঁটিতে রয়েছে তিনটি ট্রান্সফরমার। ওই খুঁটি থেকে পাশের সাতটি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মনজুরে খোদা বলেন, ‘মাঠ থেকে খুঁটিটি সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পবিস পীরগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে আবেদন করি। দুই বছরেও কোনো কাজ হয়নি। এ বিষয়ে গত ২৪ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরও কাজ হয়নি। আমরা এখন কার কাছে যাব?’
সহকারী শিক্ষক আসমা বেগম বলেন, ‘এ বছর ওই খুঁটির ট্রান্সফরমারে অন্তত সাতবার আগুন ধরেছে। শিশুরা সব সময় আতঙ্কে থাকে। তাদের মাঠে খেলতে নিষেধ করেছি।’
পীরগঞ্জ বিএমডিএ-২-এর সহকারী প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘আমরা লাইন স্থাপন করার পর তা পবিস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। খুঁটি স্থানান্তরের ব্যাপারে আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই।’
পবিস পীরগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এ কে এম মাসুদুর রহমান বলেন, পবিসের উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কারিগরি পরামর্শ নিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে খুঁটি সরাতে হবে। তাই একটু সময় তো লাগবে।