কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় দুই স্কুলছাত্রকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম (৪৮) ও তাঁর দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ নওশাদকে (২২) তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ওই দুজনকে আটক করে। পরের দিন শুক্রবার সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন এক ছাত্রের মা।
পুলিশ বলছে, গত রোববার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওই দুই ছাত্র ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে আদালত তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দিয়ে দেন।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, এখন পুলিশের হেফাজতে এনে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুলের দোকান আছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে তিনি ওই দোকানে নিয়ে যান। সেখানে তাদের অচেতন করে ধর্ষণ করেন তিনি ও তাঁর দোকানের কর্মচারী নওশাদ। সেখান থেকে রাতে কৌশলে এক ছাত্র পালিয়ে যায়। আরেক ছাত্রকে দোকানের ভেতরে আটকে রেখে চলে যান তাঁরা। পালিয়ে আসা ছাত্রটি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঘটনাটি জানায়। তাঁরা বৃহস্পতিবার দুপুরে দোকানের তালা ভেঙে অপর ছাত্রকে উদ্ধার করে। দুই ছাত্রকে বৃহস্পতিবার কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর বলেন, ‘শেখ শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত। দলের একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি হয়ে তিনি এমন কাজ করবেন, তা কোনো দিন ভাবতে পারিনি। তাই অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’