বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বছরে বিশ্বে ২৩ হাজার কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ।
ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর ১২টা ছুঁই ছুঁই। প্রখর রোদ আর প্রচণ্ড তাপে খোলা আকাশের নিচে দুদণ্ড দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন। এর মধ্যে সাভারের নয়ারহাটে ধানখেতে কাজ করছিলেন আবদুল মালেক।
কাজটি আগাছা নিড়ানোর। তবে ওই খেত, ধান কিছুই মালেকের নিজের নয়। তাঁর বাড়ি নীলফামারীর ডোমারে। মৌসুমি কৃষিশ্রমিক হিসেবে সাভারে কাজ করতে এসেছেন তিনি। কাজের সময় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা। দিনে মজুরি ৫০০ টাকা।
আবদুল মালেকের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তাঁর গা খালি। গলায় একটি গামছা ঝোলানো। চড়া রোদে শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল। গামছায় বারবার মুখ মুছছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এত রোদের মধ্যে খোলা মাঠে কাজ করতে তাঁর কষ্ট হয়, শরীর খারাপ লাগে। কিন্তু কাজ তাঁকে করতেই হয়। নইলে খাবার জুটবে কোথা থেকে।
জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যাঁরা ভুক্তভোগী, বাংলাদেশের কৃষিশ্রমিক আবদুল মালেক তাঁদের একজন। বৈশ্বিক উষ্ণতা শ্রমজীবী মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গত ডিসেম্বরে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছে সুপরিচিত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনস। ‘ইনক্রিজড লেবার লসেস অ্যান্ড ডিক্রিজড অ্যাডাপটেশন পটেনশিয়াল ইন আ ওয়ার্মার ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক যৌথ গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ডিউক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ স্বনামধন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিন দিন বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে আর্দ্রতাও। পরিবেশে একই সঙ্গে উষ্ণতা ও আর্দ্রতা বেশি থাকা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এমন গরম আবহাওয়ায় শরীরে ঘাম হয়। ঘাম শুকিয়ে শরীর দ্রুত শীতল হওয়ার সুযোগ কমে যায়। অতি উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে কাজ করা কৃষক ও শ্রমিকদের শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। তাঁদের উৎপাদনক্ষমতা কমে যায়। তাঁরা বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতা মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি করে।
নিবন্ধে অতি উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে কর্মঘণ্টার ক্ষতির হিসাবও তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, বেশি গরমের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে ২২ হাজার ৮০০ কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এর আর্থিক মূল্য ২৮ থেকে ৩১ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে বছরে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি শ্রমঘণ্টা। মাথাপিছু হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫৪ শ্রমঘণ্টা। ২০২০ সাল পর্যন্ত আগের দুই দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই হিসাব করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে যে শ্রমঘণ্টার ক্ষতি হয়, তার আর্থিক মূল্য কত, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, বৈশ্বিক আর্থিক ক্ষতির বড় অংশই হয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করতে হয়। বিশেষ করে কৃষি ও নির্মাণ খাতে ক্ষতি বেশি।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিতে পারলে আগামী দিনগুলোতে শ্রমঘণ্টার ক্ষতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
মাথাপিছু শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ—৫ নম্বরে। মাথাপিছু শ্রমঘণ্টা নষ্টের দিক দিয়ে শীর্ষ ১০ দেশ হলো কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, গাম্বিয়া, থাইল্যান্ড, সেনেগাল, ঘানা ও ব্রুনেই। কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ব্রুনেইয়ে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক কাজ করেন। ফলে ওই সব দেশে শ্রমঘণ্টার যে ক্ষতি হয়, তার একটি অংশ আসলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের লোকসান।
মোট নষ্ট হওয়া শ্রমঘণ্টার বিবেচনায় শীর্ষ দেশ ভারত। এরপর রয়েছে চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সুদান, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন। বাংলাদেশে বছরে নষ্ট হয় ১ হাজার ৪০০ কোটি শ্রমঘণ্টা।
নেচার–এর নিবন্ধ বলছে, কর্মঘণ্টার ক্ষতির কারণ কয়েকটি। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমিকদের হাঁপিয়ে যাওয়া, বারবার বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেওয়া, অসুস্থ হয়ে পড়া ইত্যাদি।
সাভারের নয়ারহাটের যে জমিতে আবদুল মালেক কাজ করছিলেন, সেটির মালিক মনসুর আলী। নিজেও খেতে কাজ করেন। তিনি বলেন, সকালে শ্রমিকেরা ভালোই কাজ করেন। কিন্তু দুপুর ১২টার পর যখন সূর্য ঠিক মাথার ওপরে থাকে তখন তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এক ঘণ্টা কাজ করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে বিশ্রাম নিতে হয়।
মনসুর আলী বলেন, বারবার বিশ্রাম নিতে হয় বলে শ্রমিকেরা দিনে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। অথচ একজন শ্রমিকের ৮ ঘণ্টা কাজ করার কথা। কেউ কেউ চড়া রোদে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এভাবে কাজের ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, গত ১০০ বছরে দেশের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। গত বছর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য গবেষক আতিক আহসান একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেশের ৯টি জেলার ১৯৮০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখান, দেশে সবচেয়ে বেশি দিন প্রচণ্ড গরম থাকে যশোরে। এ জেলায় বছরে গড়ে ৭৫ দিন আবহাওয়া বেশি উষ্ণ ছিল, যা রাজশাহী (৬৭ দিন) ও ঈশ্বরদীর (৫৮ দিন) চেয়ে বেশি। তাঁর গবেষণায় আরও উঠে আসে যে ঢাকায় বছরে ৩৬ দিন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ গত বছর ৫০টি শহরের ওপর করা একটি সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে ঢাকাবাসীর কর্মক্ষমতা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কমেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ঢাকায় প্রায় ৫ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ (বিভিন্ন কাজে ঢাকার বাইরে থেকে আসাসহ) তাঁদের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার চেয়ে কম কাজ করতে পারছেন।
পৃথিবীর বেশির ভাগ শহরে জলাভূমি ও গাছপালা রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং বেশি বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে, যাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বাংলাদেশে কিছুই হচ্ছে না। উল্টো মহানগরের অপরিকল্পিত নগরায়ণ জেলা ও উপজেলা শহর এবং গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে।আশরাফ দেওয়ান, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
নেচার–এ প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির লাগাম দ্রুত টেনে ধরা জরুরি। সেই সঙ্গে বাড়তি তাপমাত্রার সঙ্গে অভিযোজিত হতে কৃষক ও শ্রমিকদের উৎসাহী ও দক্ষ করে তুলতে হবে। দিনের মধ্যভাগের উষ্ণ সময়ে কাজ না করে অপেক্ষাকৃত শীতল সময়ে কাজ সারতে হবে। দিনের শুরুর দিকে কাজ করা একটি বিকল্প হতে পারে।
দেশের শ্রমিকেরাও একই কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, দুপুরে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। যেমন রাজধানীতে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ভূগর্ভস্থ তার বসানোর কাজে নিয়োজিত একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরম পড়ে। তখন দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। তাই সকালে, বিকেলে কিংবা সন্ধ্যার দিকে কাজের গতি বেশি থাকে।
নেচার–এ প্রকাশিত নিবন্ধে ইন্দোনেশিয়ার কৃষকদের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, দেশটির কৃষকেরা সকালের দিকে তুলনামূলক শীতল সময়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। এর সুফলও পাওয়া গেছে। শ্রমঘণ্টা কম নষ্ট হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, কাজের প্রচলিত সময়ে পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার হার ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়লে এটার সুফল না–ও মিলতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ ডিগ্রি বাড়লে শ্রমিকদের অভিযোজনের সক্ষমতা প্রায় ২ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে দিনের শুরুর দিকেও শ্রমিকদের বাড়তি তাপমাত্রায় কাজ করতে হতে পারে।
অতি উষ্ণ আবহাওয়ায় কাজ করার সময় কৃষক ও শ্রমিকদের বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। নেচার–এর নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাড়তি তাপমাত্রায় কাজ করার সময় শ্রমিকের শরীরে যাতে পানি ধরে রাখা যায়, তাঁরা যাতে পানিশূন্যতায় না ভোগেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কাজের ফাঁকে কৃষক ও শ্রমিকদের ছায়ায় বসে পর্যাপ্ত সময় বিরতি দেওয়া ও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
ঢাকায় প্রচণ্ড গরমে রিকশাচালকদের ঘামে ভেজা শরীরে শ্রম দিতে দেখা যায়। তবে তাঁরা একটি অভিযোজনব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সেটি হলো, শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে গেলে খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ। দেখা যায়, দোকান থেকে স্যালাইন কিনে পানিতে গুলিয়ে পান করেন রিকশাচালকেরা।
রাজধানীতে এক যুগ ধরে রিকশা চালিয়ে সংসার চালানো আবুল কালাম বলেন, দুপুরের কড়া রোদে যখন ক্লান্ত লাগে, তখন পথের
ধারে কোনো গাছের ছায়ায় বসে খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিই। পানি আর স্যালাইন খাই।
বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর উপায় খুঁজতে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ব। ফলে দেশ-বিদেশে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি শিগগিরই কমছে না।
গবেষকদের বিশ্লেষণ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ২০৩৭ সাল নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণতা এখনকার তুলনায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আর ২০৫১ সাল নাগাদ তা আরও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বের গড় তাপমাত্রা এখনকার তুলনায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে প্রতিবছর বাংলাদেশে ২ হাজার ১০০ কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হতে পারে। যদি গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে তাহলে নষ্ট হতে পারে ৩ হাজার ১০০ কোটি শ্রমঘণ্টা। তাপমাত্রা যত বাড়বে, শ্রমঘণ্টার ক্ষতি ততই বাড়বে।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে দেশীয় নানান কারণ রয়েছে। যেমন যশোরে বেশি দিন গরম থাকার কারণ তুলে ধরে গবেষক আতিক আহসান গত বছর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, যশোরের একটি অংশজুড়ে একসময় সুন্দরবন বিস্তৃত ছিল। নদী বেশি ছিল, পানিপ্রবাহ বেশি ছিল। এখন বন নেই, নদীতে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। সে কারণেই উষ্ণতা বাড়ছে।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফ দেওয়ান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, পৃথিবীর বেশির ভাগ শহরে জলাভূমি ও গাছপালা রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং বেশি বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে, যাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বাংলাদেশে কিছুই হচ্ছে না। উল্টো মহানগরের অপরিকল্পিত নগরায়ণ জেলা ও উপজেলা শহর এবং গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে ভূমির ব্যবহার করতে হবে, যেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য জলাভূমি, বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা থাকবে।
উল্লেখ্য, যশোরে বেশি দিন প্রচণ্ড গরম থাকার কারণ হিসেবে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নদীর মৃতপ্রায় দশা ও সুন্দরবনের বিস্তৃতি কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। সুন্দরবন একসময় যশোরের একটি অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।