দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের ছোট বটতলী নামক স্থানে ট্রাকের চাপায় এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে বটতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিনে জেলার বিরলে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিক্ষকের নাম বিনয় কৃষ্ণ রায় (৫৫)। তিনি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী ও বোদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কামেশ্বরী গ্রামের বিশ্বনাথ রায়ের ছেলে। বিনয় কৃষ্ণ আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম তাহেরা ফাইয়াজ। তিনি বোচাগঞ্জ উপজেলা পৌরশহরের সুবিদহাট এলাকার মৃত মমিনুল ইসলামের মেয়ে। তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী (২য় বর্ষ)।
বীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কাহারোল উপজেলার আত্মীয় বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে মোটরসাইকেলে করে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন বিনয় কৃষ্ণ। এ সময় বীরগঞ্জের সাতোর ইউনিয়নের ছোট বটতলী নামক স্থানে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রাক পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে যান তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিনয়কে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার সকালে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসেন ওই ছাত্রী। সেখানে বই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ফেরার সময় বোচাগঞ্জ পৌর শহরের সুবিদহাট এলাকায় দিনাজপুরের দিকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়েন তাঁরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকেই দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসিম হাবিব বলেন, এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।