দাহ্য উপাদান (আইসোপ্রোপাইল, অ্যালকোহল ও ইথানল অ্যালকোহল ইত্যাদি)–বিশিষ্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে, অ্যান্টিসেপ্টিক ও পরিষ্কারকসহ এ ধরনের বিভিন্ন দ্রব্যের গায়ে যথাযথ ও পরিষ্কারভাবে সতর্কতামূলক লেবেল/স্টিকার যুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি তারিক উল হাকিমের অবকাশকালীন ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দাহ্য উপাদানবিশিষ্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে, অ্যান্টিসেপ্টিক ও পরিষ্কারকের মতো দ্রব্যের গায়ে আগুন বিষয়ে সতর্কতামূলক লেবেল/স্টিকার যুক্ত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ওই রিটটি করা হয়। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান ২৭ জুলাই রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়েম মোহাম্মদ।
পরে মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে থাকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে, অ্যান্টিসেপ্টিক ও পরিষ্কারকসহ এ ধরনের বিভিন্ন দ্রব্যে আইসোপ্রোপাইল, অ্যালকোহল ও ইথানল অ্যালকোহলের মতো দাহ্য উপাদান থাকে। অথচ এসব দ্রব্যের গায়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগুন বিষয়ে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেখা যায় না। ফলে অসাবধানতাবশত আগুন লেগে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের দুর্ঘটনায় ২৮ জুলাই একজন চিকিৎসকও মারা যান। দাহ্য উপাদান থাকায় আগুন লাগার বিষয়ে ওই সব দ্রব্যে সতর্কতামূলক বার্তা যুক্ত করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। সতর্কতামূলক বার্তা ছাড়া দাহ্য উপাদানবিশিষ্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে, অ্যান্টিসেপ্টিক ও পরিষ্কারকের মতো বিভিন্ন দ্রব্য দেশের বাজার ও ফার্মেসিতে বিক্রি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও ওই তিন মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।